ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ডা. নাজনীন হত্যা: ভাগ্নে আমিনুলের ফাঁসি কার্যকর

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০২:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১২৭ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. আমিনুল ইসলাম (৪২) নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মামি ডা. নাজনীন আক্তার ও তার তার গৃহপরিচারিকা পারুলকে খুনের অভিযোগে মো. আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়। আমিনুল নওগাঁর পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মণ্ডলের ছেলে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগা-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ও ল্যাব এইডের মালিকের মেয়ে ডা. নাজনীন আক্তার ও গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় আমিনুল ইসলামকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ডাবল মার্ডার মামলা ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ১মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান, জেলা এডিএম হুমায়ুন কবির, এসিসি রেজুয়ান আহম্মেদ, সদর জোনের এসি ফাহিম আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ল্যাবএইডের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামানের বড় বোনের ছেলে আমিনুল ইসলামকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছিল ওই পরিবার। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে।

২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নে আমিনুল। গৃহকর্মী পারভীন আক্তার পারুল তা দেখে ফেললে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এর পর বগুড়ায় চলে যান আমিনুল। সেখান থেকে ফরিদপুরে গিয়ে শরিফুল ইসলাম নাম নিয়ে রোজ ৫০ টাকা পারিশ্রমিকে এক বাড়িতে কাজ নেন।

এভাবে আত্মগোপনে থাকার সময় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমিনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ওই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২৯ মে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ডা. নাজনীন হত্যা: ভাগ্নে আমিনুলের ফাঁসি কার্যকর

আপডেট সময় ০২:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. আমিনুল ইসলাম (৪২) নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

মামি ডা. নাজনীন আক্তার ও তার তার গৃহপরিচারিকা পারুলকে খুনের অভিযোগে মো. আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়। আমিনুল নওগাঁর পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মণ্ডলের ছেলে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগা-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ও ল্যাব এইডের মালিকের মেয়ে ডা. নাজনীন আক্তার ও গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় আমিনুল ইসলামকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ডাবল মার্ডার মামলা ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ১মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান, জেলা এডিএম হুমায়ুন কবির, এসিসি রেজুয়ান আহম্মেদ, সদর জোনের এসি ফাহিম আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ল্যাবএইডের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামানের বড় বোনের ছেলে আমিনুল ইসলামকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছিল ওই পরিবার। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে।

২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নে আমিনুল। গৃহকর্মী পারভীন আক্তার পারুল তা দেখে ফেললে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এর পর বগুড়ায় চলে যান আমিনুল। সেখান থেকে ফরিদপুরে গিয়ে শরিফুল ইসলাম নাম নিয়ে রোজ ৫০ টাকা পারিশ্রমিকে এক বাড়িতে কাজ নেন।

এভাবে আত্মগোপনে থাকার সময় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমিনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ওই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২৯ মে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।