গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে হওয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি কেন অবৈধ ঘোষণা ও বাতিল করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, বিবাদীদের আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসসহ ৬ জনকে আসামি করে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা করেন গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের সাবেক খামার ব্যবস্থাপক ফারুকুল ইসলাম।
মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অন্য আসামিরা হচ্ছেন- গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য রতন কুমার নাগ, ইমামুস সুলতান ও শাহাজান। পরবর্তীতে মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলায় অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপুরণ আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনুসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী ফারুকুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পাওনা পরিশোধ না করেই তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।