ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয় : হাইকমিশনার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের দেয়া অগ্রাধিকার তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

তিনি প্রশংসা করে বলেন, অতিমারির সবচেয়ে সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে ভারত দ্রুততম ও বৃহত্তম সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বুধবার ‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’- প্রকল্পের জন্য একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় গৃহীত হচ্ছে।

সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বিশেষ অতিথি ছিলেন।

প্রকল্পস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ক প্যাকেজ ১-এর জন্য বাস্তবিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প; যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ ভাগ।

এছাড়াও ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প’- ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে। যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে।

এছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পক্ষ।

সূত্র : ইউএনবি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয় : হাইকমিশনার

আপডেট সময় ০৯:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের দেয়া অগ্রাধিকার তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

তিনি প্রশংসা করে বলেন, অতিমারির সবচেয়ে সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে ভারত দ্রুততম ও বৃহত্তম সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বুধবার ‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’- প্রকল্পের জন্য একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় গৃহীত হচ্ছে।

সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বিশেষ অতিথি ছিলেন।

প্রকল্পস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ক প্যাকেজ ১-এর জন্য বাস্তবিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প; যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ ভাগ।

এছাড়াও ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প’- ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে। যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে।

এছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পক্ষ।

সূত্র : ইউএনবি