ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তাপমাত্রা ৯.৩, শীতে বিপর্যস্ত তেঁতুলিয়া

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১২৬ বার পড়া হয়েছে

ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

আজ শনিবার সকাল ৯টা তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি জানান, আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। বিকেল থেকেই হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।

তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়।

পাথর শ্রমিক ফিরোজা খাতুন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঠাণ্ডা তো পেটে ভাত দিবে না। গত দুইদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেড়িয়েছি।’

ভ্যানচালক আলী হাসান বলেন, ‘একদিকে ঠাণ্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে কেউ ভ্যানে চড়তে চায় না। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছিলাম।’

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

তাপমাত্রা ৯.৩, শীতে বিপর্যস্ত তেঁতুলিয়া

আপডেট সময় ০১:১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

আজ শনিবার সকাল ৯টা তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি জানান, আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। বিকেল থেকেই হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।

তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়।

পাথর শ্রমিক ফিরোজা খাতুন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ঠাণ্ডা তো পেটে ভাত দিবে না। গত দুইদিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেড়িয়েছি।’

ভ্যানচালক আলী হাসান বলেন, ‘একদিকে ঠাণ্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে কেউ ভ্যানে চড়তে চায় না। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছিলাম।’

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।