ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৯০ বার পড়া হয়েছে

উজানে পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে বেড়েই চলছে তিস্তা নদীর পানি। এরই মধ্যে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেইট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

শনিবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এর আগে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার কয়েকটি চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চর ও নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিসহ চলাচলের সড়ক। রাতে পানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে ক্রমশই বাড়ছে দুর্ভোগ।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বুদারু মিয়া (৩৫) বলেন, `নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমাদের রাত জেগে থাকতে হবে। কখন যে কী হয় ঠিক নেই।‘

ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, `দুপুরে বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।‘

এ বিষয়ে ৭ নম্বর খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুজ্জামান সরকার দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, `বাইশ পুকুর এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেইসাথে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও আবাদি বিভিন্ন ফসল।‘

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, গত দুই দিন ধরে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করলে আজ সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, `অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেইট খুলে দেয়া হয়েছে।‘

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

আপডেট সময় ১১:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উজানে পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে বেড়েই চলছে তিস্তা নদীর পানি। এরই মধ্যে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেইট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

শনিবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এর আগে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার কয়েকটি চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চর ও নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিসহ চলাচলের সড়ক। রাতে পানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে ক্রমশই বাড়ছে দুর্ভোগ।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বুদারু মিয়া (৩৫) বলেন, `নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমাদের রাত জেগে থাকতে হবে। কখন যে কী হয় ঠিক নেই।‘

ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, `দুপুরে বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।‘

এ বিষয়ে ৭ নম্বর খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুজ্জামান সরকার দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, `বাইশ পুকুর এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেইসাথে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও আবাদি বিভিন্ন ফসল।‘

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, গত দুই দিন ধরে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করলে আজ সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, `অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেইট খুলে দেয়া হয়েছে।‘