পদ্মা সেতুর মত নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবারের বাজেটে বরাদ্দের দাবিতে স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করেছেন রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার তিস্তা পাড়ের মানুষ ও নগরবাসী।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৫ মিনিট তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে স্তব্ধ কর্মসূচিতে নগরীর মডার্ন মোড়, লালবাগ, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার, কাচারী বাজার, মেডিকেল মোড়, সাতমাথাসহ নগরীর ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারীরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে আসন্ন বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, মহানগর সুজনের সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, বাংলার চোখের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তানবীর হোসেন আশরাফী প্রমুখ।
রংপুর সিটি করপোশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, দেশে বর্তমানে ৩ লাখ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা চীনা সরকার দেবে নাকি ভারত দেবে এসব উত্তরবঙ্গের মানুষ খুঁজবে না। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন উত্তরের মানুষের ন্যায্য দাবি। তাই অপ্রতীকী ৫ মিনিটের স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করা হল। এই বাজেটে বরাদ্দ রাখা না হলে আগামীতে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার মানুষকে নিয়ে এর চেয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। জুন মাসে বাজেটকে সামনে রেখে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি। আজ রংপুর নগরীর ২৯টি পয়েন্টে ও বিভাগের পাঁচটি জেলায় নদীর পাড়ে স্তব্ধ কর্মসূচি পালন হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে গণসমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলনে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন সমাবেশ, লংমার্চ, রোডমার্চ, সংবাদ সম্মেলনসহ আন্দোলন করে আসছে।