ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীতে কাঁপছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মানুষ। আজ রোববার সকাল ৯টায় কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া কার্যালয়।গত ৫ বছরের মধ্যে উপজেলায় আজ সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামায় উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খোলা রাখা হয়েছে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জেলার সকল হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিল আহমেদ বলে, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্কুলে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছ।’
পৌর শহরে ষাটোর্ধ্ব অটোরিকশাচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় এই শীত অপেক্ষা করো কাজে নামতে হয়। একদিন না নামলে খাবার জোটে না।’ দিনমজুর আব্দুল করিম বলেন, ‘এই শীতে কাজে যেতে পারছি না, তাই আগুন পোহাচ্ছি। পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
খেপুপাড়া ঝড় সতর্কীকরণ রাডার স্টেশন ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সকালে শীত একটু বেশি অনুভূত হলেও বেলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদও উঠেছে। এবং শীত কমে গেছে। এ কারণে আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিইনি। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা পেলে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।’ পটুয়াখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মাসজুড়ে এমন শীত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ভোরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যেতে পারে।