ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তুমুল বিক্ষোভের মুখে ‘ক্ষমা’ চাইলেন নেতানিয়াহু

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৯ বার পড়া হয়েছে

তুমুল বিক্ষোভের মুখে অবশেষে ইসরায়েলিদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইতে বাধ্য হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ছয় জিম্মিকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজ দেশের জনগণের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

গত শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক।

ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল সোমবার দেশটির প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন হিস্ট্রাড্রট দেশজুড়ে ব্যাপক ধর্মঘট পালন করে। এই ধর্মঘটে তেল আবিবসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

আগের দিন গত রবিবার নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। তারা জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে চুক্তির দাবি জানান।

এদিকে, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মির লাশ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরতে হতে পারে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সে সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জীবিত ও মৃত অবস্থায় বেশ কিছু জিম্মিকে উদ্ধার করেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৯৭ জিম্মি আছেন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন জিম্মির।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

তুমুল বিক্ষোভের মুখে ‘ক্ষমা’ চাইলেন নেতানিয়াহু

আপডেট সময় ১২:০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তুমুল বিক্ষোভের মুখে অবশেষে ইসরায়েলিদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইতে বাধ্য হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ছয় জিম্মিকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজ দেশের জনগণের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

গত শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক।

ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল সোমবার দেশটির প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন হিস্ট্রাড্রট দেশজুড়ে ব্যাপক ধর্মঘট পালন করে। এই ধর্মঘটে তেল আবিবসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

আগের দিন গত রবিবার নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। তারা জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে চুক্তির দাবি জানান।

এদিকে, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মির লাশ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরতে হতে পারে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সে সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জীবিত ও মৃত অবস্থায় বেশ কিছু জিম্মিকে উদ্ধার করেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৯৭ জিম্মি আছেন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জন জিম্মির।