দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৩ জেলায় মিলেছে গ্যাস ও তেলের সন্ধান। বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান টিমের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ১৩ জেলা হলো ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও বাগেরহাট।
১৯৯৩-৯৪ সাল থেকে গত ২৯ বছর ধরে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে আরো গ্যাসের সন্ধান পেয়ে ৮টি কূপ খনন করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এছাড়া ইলিশা নামে আরো একটি কূপ খননের কাজ আগামী জুলাই মাসে শুরু করবে বাপেক্স।
বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, ভোলায় যেহেতু বিপুল পরিমাণে গ্যাস রয়েছে সে তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও বাগেরহাট জেলায় তেল ও গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই ঝালকাঠিসহ ১৩টি জেলার প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার এলাকায় ভূমিকম্প জরিপ বা সিসমিক সার্ভে করা হবে খুব শীঘ্রই বলে জানান তারা। এ বছরের অক্টোবর থেকে এ সার্ভে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই লক্ষ্যে সার্ভে করার জন্য ২৬৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পের মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হলেই সার্ভে টিম মাঠে নামবেন।
কর্মকর্তারা বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলীর বরাত দিয়ে জানান, এসব জেলা সার্ভে করা হলে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান মিলবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, ভোলা শাহাবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামে দুটি গ্যাস ক্ষেত্রের মোট আটটি কূপে ১ দশমিক ৫ টিসিএফ ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে।
এরমধ্যে শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে ৯১৩ টিসিএফ ও ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রে ৬০০ টিসিএফ ঘনফুট গ্যাস মজুদ। ভোলার আটটি কূপ থেকে গড়ে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব।
কিন্তু বর্তমানে উত্তোলনের সক্ষমতা হচ্ছে ৯১ থকে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে ভোলার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।