নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় করা দুই মামলায় হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ১২ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা নাশকতার এক মামলায় জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
মামুনুল হকের জামিন স্থগতি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ মে) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ মে) সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা তিন মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো: হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামুনুল হকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। মামুনুল হকের আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
জামিন আদেশের পর মামুনুল হককে আইনজীবীরা জানান, তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আগে ১৭টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ তিনটি জামিন পেলেন। মামুনুল হকের কারামুক্তির জন্য বাকি ২১টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় নয়টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা হয়েছে।