পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে ১৪ দিন অনশনের পর স্ত্রীর স্বীকৃতি পেলেন মনি আক্তার (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জলিশা গ্রামে প্রেমিক রাব্বির বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিয়েতে ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে। রাব্বি উপজেলার পূর্ব জলিশা গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে এবং মনি আক্তার পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে।
উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা জানান, মেয়েটি অনেক দিন ধরে এ এলাকায় অবস্থান করছিল। উভয়ের অভিভাবকদের একত্রিত করতে না পারায় বিয়েতে বিলম্ব হয়েছে। ছেলেমেয়ের অভিভাবকদের সম্মতিতেই এ বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুমকি থানার ওসি মো. আবদুস সালাম জানান, রাব্বি এবং মনির মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক রাব্বির বাড়িতে অবস্থান নেন মনি আক্তার। দীর্ঘ ১৪ দিন অনশনের পর তাদের বিয়ে হয়।