ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে ২৭ দফার বিকল্প নেই : আমীর খসরু

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ২৭ দফা রুপরেখা দিয়েছে। এই দফাগুলো আন্দোলনের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, রূপরেখার দফাগুলো আমাদের আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। ২৭ দফা দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে ২৭ দফার প্রয়োজনীয়তা। ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নেই।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে এক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রুপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর।

ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: কামরুল আহসান।

আমীর খসরু বলেন বলেন, যিনি এ ধরনের রুপরেখা দিতে পারেন তাকে বলা হয় ‘স্টেটসম্যান‘। আর তারেক রহমান সেই কাজটিই করেছেন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে তিনি বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, দেশের যে অবস্থা তাতে নিষেধাজ্ঞা আসবে সেটা স্বাভাবিক। কারণ এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না। গুম খুন করা হচ্ছে। দূতাবাসের কাজ হলো জনগণের পক্ষে কাজ করা। নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কাজ তাদের না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যত কালো আইন আছে সবই বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটা কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই খাতে ১ জিডিপির ব্যবহার নেই বললেই চলে। কারণ এখানে সরকারের দুর্নীতি বেশি। ফলে দেশের মানুষের নিজের টাকা খরচ করেই চিকিৎসা নিতে হয়। যা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ। এসব বিষয়ে সারাদেশে সেমিনার করা জরুরি। কারণ একটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হলে তার প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ শুরু হয়ে যায়। একটি পরিবারকে যদি ৫ হাজার টাকা সেভ করা যায় ওই পরিবারের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাবে। সেই টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় খরচ করতে পারবে। দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারবে।

তিনি বলেন, আজকে দেশে যা হচ্ছে তা লুট। মেগা প্রজেক্ট করা হচ্ছে টাকা লুটে বিদেশে পাচারের জন্য। একটা গাড়ি আছে আরেকটা কিভাবে কেনা যায় সেটা করে। আজকে ৬৫ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। তাদের সময় কোথায়? তারা কী আইন প্রণয়ন করছে?

সাবেক মন্ত্রী বলেন, এগুলো বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে তো স্মার্ট বাংলাদেশের নামে স্মার্ট ভোট চুরি, শেয়ারবাজার লুট হবে। ১০ লাখ কোটি টাকার মতো বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথা আমরা বলছি না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু চুক্তি বা ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। যা রাজনীতিবিদরা খুব একটা করতে পারেন না। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক উপরে স্থান পেয়েছে। যা বিদেশীরাও প্রশংসা করছেন। তার জানতে চাইছেন যে- বিএনপি এটা বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা?

অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। আপামর জনসাধারণের দাবিগুলো এই রুপরেখায় তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন ভীষণ সঙ্কটে আছে। লাইফ সাপোর্টে আছে বললে অযৌক্তিক হবে না। এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে। মাঝে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তা আরো গতিময় হয়েছে।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে সেটা বলা যাবে না। বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা দেশের অসহায় মানুষের মুক্তির সনদ।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, এই সরকার কেমন সেটা তো ১৫ বছর ধরে দেখছি। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। পেশার নিরাপত্তা নেই। স্বাস্থখাতে চলছে হরিলুট। অন্যদিকে সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য খাতের বার্ষিক ব্যয় কমছে। যা পাশের দেশের তুলনায় অনেক কম। সুতরাং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা দিয়েছে তার অত্যন্ত জনপ্রিয় উদ্যোগ।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, কাউকে পেছনে না রেখে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে আনা দরকার। যেখানে মানবাধিকার, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও সব ধর্মের স্বাধীনতা থাকবে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রুপরেখা দিয়েছে। এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, বর্তমান দেশের সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমে সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এরপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এই রুপরেখা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুক্তির গাইডলাইন। কেন না সেখানে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ড্যাবের মহাসচিব ডা. এএসএম মো: মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো: আবদুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদল নেতা ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. লাবিদ রহমান, তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, আসিফ আহমেদ খান প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে ২৭ দফার বিকল্প নেই : আমীর খসরু

আপডেট সময় ০৮:২৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ২৭ দফা রুপরেখা দিয়েছে। এই দফাগুলো আন্দোলনের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, রূপরেখার দফাগুলো আমাদের আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। ২৭ দফা দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে ২৭ দফার প্রয়োজনীয়তা। ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নেই।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে এক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রুপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর।

ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: কামরুল আহসান।

আমীর খসরু বলেন বলেন, যিনি এ ধরনের রুপরেখা দিতে পারেন তাকে বলা হয় ‘স্টেটসম্যান‘। আর তারেক রহমান সেই কাজটিই করেছেন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে তিনি বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, দেশের যে অবস্থা তাতে নিষেধাজ্ঞা আসবে সেটা স্বাভাবিক। কারণ এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না। গুম খুন করা হচ্ছে। দূতাবাসের কাজ হলো জনগণের পক্ষে কাজ করা। নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কাজ তাদের না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ যত কালো আইন আছে সবই বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটা কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই খাতে ১ জিডিপির ব্যবহার নেই বললেই চলে। কারণ এখানে সরকারের দুর্নীতি বেশি। ফলে দেশের মানুষের নিজের টাকা খরচ করেই চিকিৎসা নিতে হয়। যা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ। এসব বিষয়ে সারাদেশে সেমিনার করা জরুরি। কারণ একটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হলে তার প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ শুরু হয়ে যায়। একটি পরিবারকে যদি ৫ হাজার টাকা সেভ করা যায় ওই পরিবারের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাবে। সেই টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় খরচ করতে পারবে। দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারবে।

তিনি বলেন, আজকে দেশে যা হচ্ছে তা লুট। মেগা প্রজেক্ট করা হচ্ছে টাকা লুটে বিদেশে পাচারের জন্য। একটা গাড়ি আছে আরেকটা কিভাবে কেনা যায় সেটা করে। আজকে ৬৫ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। তাদের সময় কোথায়? তারা কী আইন প্রণয়ন করছে?

সাবেক মন্ত্রী বলেন, এগুলো বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে তো স্মার্ট বাংলাদেশের নামে স্মার্ট ভোট চুরি, শেয়ারবাজার লুট হবে। ১০ লাখ কোটি টাকার মতো বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথা আমরা বলছি না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু চুক্তি বা ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। যা রাজনীতিবিদরা খুব একটা করতে পারেন না। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক উপরে স্থান পেয়েছে। যা বিদেশীরাও প্রশংসা করছেন। তার জানতে চাইছেন যে- বিএনপি এটা বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা?

অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। আপামর জনসাধারণের দাবিগুলো এই রুপরেখায় তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন ভীষণ সঙ্কটে আছে। লাইফ সাপোর্টে আছে বললে অযৌক্তিক হবে না। এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে। মাঝে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তা আরো গতিময় হয়েছে।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে সেটা বলা যাবে না। বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা দেশের অসহায় মানুষের মুক্তির সনদ।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, এই সরকার কেমন সেটা তো ১৫ বছর ধরে দেখছি। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। পেশার নিরাপত্তা নেই। স্বাস্থখাতে চলছে হরিলুট। অন্যদিকে সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য খাতের বার্ষিক ব্যয় কমছে। যা পাশের দেশের তুলনায় অনেক কম। সুতরাং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা দিয়েছে তার অত্যন্ত জনপ্রিয় উদ্যোগ।

কাদের গণি চৌধুরী বলেন, কাউকে পেছনে না রেখে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে আনা দরকার। যেখানে মানবাধিকার, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও সব ধর্মের স্বাধীনতা থাকবে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে রুপরেখা দিয়েছে। এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, বর্তমান দেশের সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমে সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এরপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এই রুপরেখা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুক্তির গাইডলাইন। কেন না সেখানে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ড্যাবের মহাসচিব ডা. এএসএম মো: মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো: আবদুস সালাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদল নেতা ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. লাবিদ রহমান, তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, আসিফ আহমেদ খান প্রমুখ।