ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার সাজা নিয়েই প্রথম স্ত্রীকে হত্যা, এবার ফাঁসির রায়

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • ১১৩০ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফখরুল ইসলামকে (৬০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন আদালত। এরপর জামিনে বের হয়ে তিনি প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেন। ফখরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সদরের ফকিরাকান্দা বয়রার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি ফখরুল ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট তার দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ওরফে তানিয়াকে হত্যা করেন। এই হত্যার দায়ে ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১২ সালের ২৬ মার্চ বিকেল ৩টায় তার বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা প্রথম স্ত্রী শিরিনাজ বেগমকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।

এ মামলা চলাকালে আসামি নিজেকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করলে আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে সুস্থ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ২০০১ সালের মামলার ঘটনার সময়ও তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে দাবি করেছিলেন। সেসময় পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করে আদালত নিশ্চিত হয় যে, ওই সময়েও তিনি স্বাভাবিক ছিল। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি না করে ফেরত পাঠায়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অবস্থায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামি দ্বিতীয়বার একই ধরনের অপরাধ করেছেন বলে আদালত প্রমাণ পায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোকাম্মেল হক শাকিল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার সাজা নিয়েই প্রথম স্ত্রীকে হত্যা, এবার ফাঁসির রায়

আপডেট সময় ০৯:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

ময়মনসিংহে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফখরুল ইসলামকে (৬০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন আদালত। এরপর জামিনে বের হয়ে তিনি প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেন। ফখরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সদরের ফকিরাকান্দা বয়রার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি ফখরুল ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট তার দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ওরফে তানিয়াকে হত্যা করেন। এই হত্যার দায়ে ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১২ সালের ২৬ মার্চ বিকেল ৩টায় তার বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা প্রথম স্ত্রী শিরিনাজ বেগমকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।

এ মামলা চলাকালে আসামি নিজেকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করলে আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে সুস্থ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ২০০১ সালের মামলার ঘটনার সময়ও তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে দাবি করেছিলেন। সেসময় পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করে আদালত নিশ্চিত হয় যে, ওই সময়েও তিনি স্বাভাবিক ছিল। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি না করে ফেরত পাঠায়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অবস্থায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামি দ্বিতীয়বার একই ধরনের অপরাধ করেছেন বলে আদালত প্রমাণ পায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোকাম্মেল হক শাকিল।