সৌদি আরব বলেছে, ফিলিস্তিনের সাথে ইসরাইলের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান ছাড়া তারা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক টুইটে দেশটির এক শীর্ষ কূটনীতিক একথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার জেরুসালেমে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সাথে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ফাঁকে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ শুক্রবার এ মন্তব্য করেন।
প্রিন্স ফয়সাল শীর্ষ সম্মেলনে ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘সত্যিকারের স্বাভাবিকীকরণ এবং সত্যিকারের স্থিতিশীলতা কেবলমাত্র ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র দেয়ার মাধ্যমেই আসবে।’
বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ অংশীদার কিন্তু ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের কারণে মার্কিন-মিত্র ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বারবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আব্রাহাম অ্যাকর্ডস স্বাক্ষর হয়। এতে দ্বৈত চুক্তির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন উভয়ই ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়। যার ফলে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয়। নেতানিয়াহু বারবার সৌদি আরবকে এই তালিকায় যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ইসরাইলি নেতার কার্যালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের আলোচনায়, নেতানিয়াহু ও সুলিভান সৌদির সাথে অগ্রগতির উপর জোর দিয়ে ‘আব্রাহাম চুক্তি’কে গভীর করার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যাকা এবং ইসরাইল-অধিভুক্ত পূর্ব জেরুসালেমে দীর্ঘকাল ধরে চলমান সংঘাতের ‘দুই-রাষ্ট্র’ সমাধানে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে দাবি করা হয়েছিল।
কিন্তু ইহুদি বসতি দ্বারা অধিকৃত পশ্চিম তীর খণ্ডিত হওয়ায় সেই লক্ষ্যটি আরো দূরবর্তী হয়ে উঠেছে।
নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে বর্ধিত বন্দোবস্ত সম্প্রসারণের একটি নীতি অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছেন। তার জোটে থাকা অতি-অর্থোডক্স ইহুদি দলগুলো কিছু অঞ্চলকে সংযুক্ত করার পক্ষে।
সূত্র : বাসস