রোববার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নাটকীয়ভাবে পারমাণবিক ওয়ারহেডের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং একটি নতুন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি কর্তৃক প্রকাশিত একটি সার সংক্ষেপ অনুযায়ী, এক দিন আগে ক্ষমতাসীন দলের একটি প্রধান বৈঠকের ভাষণে, কিম যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রতিকূল পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি’ বিকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
কিম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া একটি ‘সুস্পষ্ট শত্রু’। উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রসহ পারমাণবিক ওয়ারহেডের উৎপাদন ‘দ্রুত’ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে তাদের কারণে।
বাইরের বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ফিসাইল উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি তাদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা এই ধরনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
শনিবার তার বক্তৃতায়, কিম ‘দ্রুত পারমাণবিক আক্রমণ ক্ষমতা’সহ একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। আইসিবিএমের একটি রেফারেন্সে সম্ভবত এই কঠিন জ্বালানিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, যেকোনো তরল-জ্বালানিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।
উত্তর কোরিয়া খুব শিগগিরই তাদের প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে বলেও জানান কিম।
এক লিখিত বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, কিমের মন্তব্য ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করছে’। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে তাহলে কিম জং উনের শাসনের অবসান ঘটবে।’
২০২২ সালে কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনা ক্রমশ খারাপ দিকে মোড় নেয়। সব পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি এবং নিন্দা প্রদর্শন বৃদ্ধি করে।