ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নতুন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের বিক্ষোভ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৬৭ বার পড়া হয়েছে

হাজার হাজার ইসরায়েলি শনিবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। নেতানিয়াহুকে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী বলে মনে করা হয়। এএফপি’র এক সংবাদদাতা একথা জানিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা উপকূলীয় তেল আবিব শহরে ‘গণতন্ত্র বিপদে’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একসাথে’ স্লোগানসহ ফেস্টুন প্রদর্শন করে।

কেউ কেউ ইসরাইলি এবং রংধনু পতাকা নাড়ে যখন অন্যরা ‘অপরাধ মন্ত্রী’ লেখা একটি বড় ব্যানার ধরেছিল, গত বছরগুলোতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভের সময় ইসরাইলিরা ব্যাপকভাবে এই স্লোগান ব্যবহার করে।

গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর নেতানিয়াহু চরম-ডান এবং অতি-অর্থোডক্স ইহুদি দলগুলোর সাথে একটি জোটের প্রধান হয়ে গত মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যাদের কিছু কর্মকর্তা এখন মূল মন্ত্রণালয়ের প্রধান।

এর মধ্যে এমন একজন রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যিনি গত বছরের শেষের দিকে কর ফাঁকি দেয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন এবং যার মধ্যে অতি-ডানপন্থী ঘেঁষা একজন রয়েছেন, যিনি একবার তার বাড়িতে এমন একজন ব্যক্তির প্রতিকৃতি রেখেছিলেন যিনি বহু ফিলিস্তিনি আলেমের হত্যার জন্য দায়ী।

৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু, যিনি আদালতে নিজের দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ছেন, ইসরাইলের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন আইনজীবী বলেছেন, ‘আমার দাদা-দাদি ইসরাইলে এসেছিলেন এখানে আশ্চর্যজনক কিছু তৈরি করতে, আমরা অনুভব করতে চাই না যে আমাদের গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট ধ্বংস হয়ে যাবে।’

তেল আবিবের প্রযুক্তি খাতের একজন কর্মী ওমর বলেছেন, ‘চরমপন্থীরা তাদের বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছে এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়।’

নতুন সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের নীতি অনুসরণ করার এবং এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সদস্য ও সমর্থকদের উদ্বিগ্ন করে এমন সামাজিক সংস্কার করার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে।

ইসরাইলের নতুন বিচারমন্ত্রী এই সপ্তাহে একটি সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে একটি ‘অবমানানকর ধারা’ রয়েছে যা সংসদকে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলো অগ্রাহ্য করার অনুমতি দেয়।

বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ এই সংস্কারের নিন্দা করে টুইটারে বলেছেন, এটি ‘ইসরাইল রাষ্ট্রের পুরো আইনি ব্যবস্থাকে বিপন্ন করে।’

সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নতুন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৮:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

হাজার হাজার ইসরায়েলি শনিবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। নেতানিয়াহুকে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী বলে মনে করা হয়। এএফপি’র এক সংবাদদাতা একথা জানিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা উপকূলীয় তেল আবিব শহরে ‘গণতন্ত্র বিপদে’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একসাথে’ স্লোগানসহ ফেস্টুন প্রদর্শন করে।

কেউ কেউ ইসরাইলি এবং রংধনু পতাকা নাড়ে যখন অন্যরা ‘অপরাধ মন্ত্রী’ লেখা একটি বড় ব্যানার ধরেছিল, গত বছরগুলোতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভের সময় ইসরাইলিরা ব্যাপকভাবে এই স্লোগান ব্যবহার করে।

গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর নেতানিয়াহু চরম-ডান এবং অতি-অর্থোডক্স ইহুদি দলগুলোর সাথে একটি জোটের প্রধান হয়ে গত মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যাদের কিছু কর্মকর্তা এখন মূল মন্ত্রণালয়ের প্রধান।

এর মধ্যে এমন একজন রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যিনি গত বছরের শেষের দিকে কর ফাঁকি দেয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন এবং যার মধ্যে অতি-ডানপন্থী ঘেঁষা একজন রয়েছেন, যিনি একবার তার বাড়িতে এমন একজন ব্যক্তির প্রতিকৃতি রেখেছিলেন যিনি বহু ফিলিস্তিনি আলেমের হত্যার জন্য দায়ী।

৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু, যিনি আদালতে নিজের দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ছেন, ইসরাইলের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একজন আইনজীবী বলেছেন, ‘আমার দাদা-দাদি ইসরাইলে এসেছিলেন এখানে আশ্চর্যজনক কিছু তৈরি করতে, আমরা অনুভব করতে চাই না যে আমাদের গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট ধ্বংস হয়ে যাবে।’

তেল আবিবের প্রযুক্তি খাতের একজন কর্মী ওমর বলেছেন, ‘চরমপন্থীরা তাদের বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছে এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়।’

নতুন সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের নীতি অনুসরণ করার এবং এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সদস্য ও সমর্থকদের উদ্বিগ্ন করে এমন সামাজিক সংস্কার করার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে।

ইসরাইলের নতুন বিচারমন্ত্রী এই সপ্তাহে একটি সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে একটি ‘অবমানানকর ধারা’ রয়েছে যা সংসদকে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলো অগ্রাহ্য করার অনুমতি দেয়।

বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ এই সংস্কারের নিন্দা করে টুইটারে বলেছেন, এটি ‘ইসরাইল রাষ্ট্রের পুরো আইনি ব্যবস্থাকে বিপন্ন করে।’

সূত্র : বাসস