হার কাঁপানো শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডা জনিত রোগ। এদিকে রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন সামনের দিন গুলোতে বাড়বে শীতের প্রকট।
আজ মঙ্গলবার (২জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষের। মধ্যরাত থেকেই বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ছে শিশির কনা । চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করে থাকেন তারা।
এদিকে সদর উপজেলার কৃষকরা বলছেন অতিরিক্ত ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমের আবাদ পিছিয়ে যাচ্ছে। এলাকার কৃষকরা বলেন বীজতলার চারা ধান শীতের কারণে হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। এভাবে শীত পড়তে থাকলে ইরি আবাদ নিয়ে শংকা দেখা দিতে পারে।
ওই এলাকার দিনমুজুর নজরুল ইসলাম জানান, শীতের কারনে তারা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। ফলে তাদের আয় কমে গেছে।
এদিকে শীতের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যাবেক্ষাণাগারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মাঝারী ধরণের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী আরও কয়েকদিন চলমান থাকতে পারে।