নামাজ সফলতার সোপান। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! রুকু ও সিজদাহ করো, তোমার প্রভুর ইবাদত করো এবং নেক কাজ করো হয়তো তোমাদের ভাগ্যে সফলতা আসবে’ (সূরা হজ-৭৭)।
সূরা আল মুমিনুনে মহান আল্লাহ বলেন- ‘নিশ্চিতভাবে সফল হয়েছে সেসব মুমিন যারা তাদের নামাজে বিনয়, একাগ্রতা অবলম্বন করে, অসার কাজ থেকে বিরত থাকে ও জাকাতের পথে সক্রিয় থাকে’ (সূরা আল মুমিনুন : ১-৪)।
মহান আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন- ‘সফলকাম হয়েছে সে ব্যক্তি, যে পবিত্রতা অবলম্বন করে এবং নিজের রবের নাম স্মরণ করে ও নামাজ পড়ে’ (সূরা আলা : ১৪-১৫)।
ওই আয়াতে কারিমাগুলোতে আল্লাহ তায়ালা নামাজের গুরুত্ব ও মানুষের সার্বিক সফলতার কথা বলেছেন। আপনি যদি দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে।
নামাজই সর্বোত্তম আমল এবং হৃদয় ও চোখের শীতলতা আনয়নকারী। বস্তুত নামাজই সবচেয়ে উত্তম আমল। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা: একদা রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করলেন, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, ‘সময়মতো নামাজ আদায় করা।’ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রা: তখন বললেন, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা’। সাহাবি আবার বললেন, আমি বললাম, তারপর কী? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা’ (বুখারি ও মুসলিম)।
মূলত নামাজের মধ্যেই রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য, হৃদয়ের প্রশান্তি, আরাম, চক্ষু শীতলতা। মহান আল্লাহ বলেন- ‘জেনে রেখো আল্লাহর স্মরণেই চির প্রশান্তি লাভ করে’ (সূরা আর রাদ-২৮)।
নামাজের পারলৌকিক ফজিলত সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা রা: বলেন, রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘আচ্ছা বলো তো যদি তোমাদের কারো বাড়ির সামনে একটি পানির নহর বা খাল থাকে, যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে ময়লা জমে থাকতে পারে?’ তারা জবাব দিলেন- না, রাসূল সা: বললেন, ‘এরূপ দৃষ্টান্তই হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের। এর মাধ্যমে আল্লাহ নামাজির অপরাধসমূহ মাফ করে দেবেন।’
লেখক :
- সাকী মাহবুব
সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী