রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্লট মালিকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে দাপ্তরিক অনেক নথিপত্র রেকর্ডরুমে না রেখে নিজেদের হেফাজতে রাখেন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যক্তি হেফাজত থেকে এসব নথি উদ্ধারে রাজউক কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কক্ষ থেকে ২শটির মতো নথি উদ্ধার করা হয়েছে। নথিগুলো পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বিভিন্ন প্লটের।
রাজউকের সদস্য (এস্টেট) মোহাম্মদ নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রাজউকের কর্মকর্তাদের অনেকেই বলেছেন, যার দপ্তরের নথি তিনিই উদ্ধার করেছেন।
তিনি কি জানতেন না যে, নথিগুলো কোথায় রয়েছে? সবই জানতেন। এটা আসলে নিজেকে রক্ষার একটা কৌশল। নথি আটকে প্লট মালিকদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়ের বিষয়টিও তার অজানা নয়।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম এ বিষয়ে আমাদের সময়কে বলেন, রাজউকের অ্যানেক্স ভবনে অভিযান চালিয়ে ২শটির মতো প্লটের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো রেকর্ড রুমে থাকার কথা থাকলেও কতিপয় দুষ্টু লোক নিজেদের কাছে রেখেছিলেন। আমরা তাদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করেছিÑ এরপর এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অভিযুক্তরা এসে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা আগামীকাল সোমবারের মধ্যে সব ফাইল রেকর্ড রুমে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
প্লট মালিকদের অভিযোগ রয়েছে রাজউকের অসাধু কর্মচারীরা প্লটের নথিপত্র নিজেদের কাছে আটকে রেখে টাকা দাবি করতেন। টাকা না পেলে সময়ক্ষেপণ করতেন ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না বলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদের নেতৃত্বেও এমন একটি অভিযান চালানো হয়েছিল। সে সময় অ্যানেক্স ভবনের একটি কক্ষ থেকে ৭০টি প্লটের নথি উদ্ধার করা হয় এবং এর জেরে রাজউকের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।