ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি : ইসি রাশেদা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১১৯ বার পড়া হয়েছে

এখন পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা নাই এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা খুবই বেশি দাবি করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখালে তাদের শাস্তির ব্যাপারে কোনো আইন ছিল না। এবার আইন সংশোধন করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভা শুরু হয়। বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে রেঞ্জ ডিআইজি মো: আব্দুল বাতেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানসহ রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।

নির্বাচন পেছানো সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই। কেন পেছাবে?‘

ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার কতটুকু গ্যারান্টি আছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলবো, আগে কিন্তু ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কোনো বিধান ছিল না। এবারের কমিশন আইন সংশোধন করে এই কাজগুলোকে শাস্তির আওতায়ে এনেছে। আমি বলবো কোনো ভোটারকে যদি রাতের অন্ধকারে কোনো রকম ভয়ভীত দেখায়। সে কথা যেন তিনি নির্ভয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বলেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমাদের বলা আছে, তারা বিষয়গেুলো দেখবেন। এবার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, বাধাগ্রস্ত হবেন, এ ধরণের কোনো ঘটনা এবার ইনশাআল্লাহ হবে না। ভোটাররা নির্বিঘ্নে আসতে পারবে।’

ভোটের দিন সেনাবাহিনী থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা বলেন, ‘থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এখনো আমরা এ ব্যপারে হান্ড্রেড পারসেন্ট ডিসিশন নেই। তবে অতীতের সমস্ত নির্বাচনে সেনাবাহিনী থেকেছে। এই নির্বাচনেও তাদের রাখার চিন্তা আছে। অবস্থা বুঝে আমরা সেটা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিবো।’

ভোট গ্রহনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রন নেই সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি রাশেদা বলেন, ‘ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইসির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে। সে কারণে এক দিনের নোটিশে আজকের ফ্রুটফুল মিটিং হয়েছে। সুতরাং তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা সেটা আপনারা চিন্তভাবনা করেন।’

সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারো পক্ষে ভোট চাওয়া বিষয়ে এক প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, ‘সবার একটা ধারণা যে তফসিল ঘোষণার পর টোটাল সরকারি ব্যবস্থাপনা ইসির কাছে চলে আসে। এটা সঠিক নয়। শুধু ভোটের ব্যবস্থাপনার সাথে যে প্রশাসন সেটাই শুধু ইসির সাথে চলে আসে। আরপিও ফোরটি ফোরে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে কি কি বিষয় আসবে। রাষ্ট্রের রেগুলার কাজগুলো তো ওনারা করবেন, আমরা সেগুলো করবো না।’

হরতাল অবরোধ প্রশ্নে রাশেদা বলেন, ‘কে হরতাল দিবে বা অবরোধ দিবে সেটা আমরা কিছুই বলতে পারবো না। কিন্তু আমাদের আইনশৃঙখলা বাহিনী এ ব্যপারে প্রস্তুত আছেন। ভোটের পরিবেশ তৈরি আছে, তৈরি থাকবে, সেটা যেকোনোভাবেই হোক। আমাদের ইচ্ছা ভোটাররা যাদের চাবেন, তারাই নির্বাচিত হবেন। তারাই সংসদ গঠন করবেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি : ইসি রাশেদা

আপডেট সময় ১০:০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

এখন পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা নাই এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা খুবই বেশি দাবি করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখালে তাদের শাস্তির ব্যাপারে কোনো আইন ছিল না। এবার আইন সংশোধন করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভা শুরু হয়। বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে রেঞ্জ ডিআইজি মো: আব্দুল বাতেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানসহ রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।

নির্বাচন পেছানো সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচন পেছানোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই। কেন পেছাবে?‘

ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার কতটুকু গ্যারান্টি আছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলবো, আগে কিন্তু ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কোনো বিধান ছিল না। এবারের কমিশন আইন সংশোধন করে এই কাজগুলোকে শাস্তির আওতায়ে এনেছে। আমি বলবো কোনো ভোটারকে যদি রাতের অন্ধকারে কোনো রকম ভয়ভীত দেখায়। সে কথা যেন তিনি নির্ভয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বলেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমাদের বলা আছে, তারা বিষয়গেুলো দেখবেন। এবার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, বাধাগ্রস্ত হবেন, এ ধরণের কোনো ঘটনা এবার ইনশাআল্লাহ হবে না। ভোটাররা নির্বিঘ্নে আসতে পারবে।’

ভোটের দিন সেনাবাহিনী থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা বলেন, ‘থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এখনো আমরা এ ব্যপারে হান্ড্রেড পারসেন্ট ডিসিশন নেই। তবে অতীতের সমস্ত নির্বাচনে সেনাবাহিনী থেকেছে। এই নির্বাচনেও তাদের রাখার চিন্তা আছে। অবস্থা বুঝে আমরা সেটা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিবো।’

ভোট গ্রহনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রন নেই সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি রাশেদা বলেন, ‘ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইসির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে। সে কারণে এক দিনের নোটিশে আজকের ফ্রুটফুল মিটিং হয়েছে। সুতরাং তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা সেটা আপনারা চিন্তভাবনা করেন।’

সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারো পক্ষে ভোট চাওয়া বিষয়ে এক প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, ‘সবার একটা ধারণা যে তফসিল ঘোষণার পর টোটাল সরকারি ব্যবস্থাপনা ইসির কাছে চলে আসে। এটা সঠিক নয়। শুধু ভোটের ব্যবস্থাপনার সাথে যে প্রশাসন সেটাই শুধু ইসির সাথে চলে আসে। আরপিও ফোরটি ফোরে নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে কি কি বিষয় আসবে। রাষ্ট্রের রেগুলার কাজগুলো তো ওনারা করবেন, আমরা সেগুলো করবো না।’

হরতাল অবরোধ প্রশ্নে রাশেদা বলেন, ‘কে হরতাল দিবে বা অবরোধ দিবে সেটা আমরা কিছুই বলতে পারবো না। কিন্তু আমাদের আইনশৃঙখলা বাহিনী এ ব্যপারে প্রস্তুত আছেন। ভোটের পরিবেশ তৈরি আছে, তৈরি থাকবে, সেটা যেকোনোভাবেই হোক। আমাদের ইচ্ছা ভোটাররা যাদের চাবেন, তারাই নির্বাচিত হবেন। তারাই সংসদ গঠন করবেন।