আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন যথাসময়ে এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এ সরকারের মেয়াদ ৫ বছর, মেয়াদ শেষে সংবিধানে যেভাবে বলা আছে একটা জাতীয় নির্বাচন হবে, ঠিক সেভাবে একটা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে।’
রোববার সচিবালয়ে নববর্ষ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮, সালের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল এবং যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাদের জন্য আমরা দায়ী নই। আমি আশা করি আগামী সাধারণ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেশের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের ভোটের অধিকারে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল বলেন, ‘কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না, সে যে দলই হোক না কেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থা উদ্বিগ্ন বলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলছেন, তারা অতীতে যা হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেনি। সেক্ষেত্রে আপনি বিচার করতে পারবেন কার বক্তব্য নির্ভরযোগ্য।’
চলমান উন্নয়ন কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল বলেন, এবারের নববর্ষে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।
২০২২ সালে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল উদ্বোধনকে সবচেয়ে বড় সাফল্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটে চলমান সব উন্নয়ন কাজ চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সম্পন্ন করা হবে।
সূত্র : ইউএনবি