ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পতন দেখতে পেলে তারা এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে : মির্জা ফখরুল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:২৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৬৪ বার পড়া হয়েছে

‘আওয়ামী লীগকে হটানো যাবে না’- আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পতন যখন স্পষ্ট হয়, পতন যখন আঘাত করতে আসতে থাকে, পতন যখন দেখতে পায় তখন তারা এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে।’

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র; যে সরকারগুলো থাকে, যারা নির্বাচিত নয়, জনগণের সাথে যাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়। যখন জনগণ প্রতিবাদ করতে শুরু করে তখন এ ধরনের সরকারগুলো আক্রমণাত্মক হয়, নিপীড়নমূলক হয়, নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমন করা যায় না।’

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া সহজ নয়’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই আমরা জবাব দেই না। কারণ উনি কখন কি বলেন এটা জনগণ বুঝতে পারে না। কি লক্ষ্যে বলেন, কি কারণে বলেন। এটার জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই, এটা প্রমাণ হবে কাজেই।’

সরকারের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে বলতেন আমরা (বিএনপি) নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না। আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন, সব রকম শক্তি নিয়োগ করে আপনারা জনগণের উপর অত্যাচার করছেন, নিপীড়ন করছেন এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। তার অর্থই হচ্ছে সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই। সরকার প্রমাণ করেছে, তারা ভয় পেয়েছে, অত্যন্ত ভীত হয়ে তারা এখন আমাদের উপর আক্রমণ করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বুধবার হওয়া বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সারাদেশে হামলা, গ্রেফতার ও মামলার বিষয় তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পতন দেখতে পেলে তারা এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১০:২৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

‘আওয়ামী লীগকে হটানো যাবে না’- আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পতন যখন স্পষ্ট হয়, পতন যখন আঘাত করতে আসতে থাকে, পতন যখন দেখতে পায় তখন তারা এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে।’

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র; যে সরকারগুলো থাকে, যারা নির্বাচিত নয়, জনগণের সাথে যাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়। যখন জনগণ প্রতিবাদ করতে শুরু করে তখন এ ধরনের সরকারগুলো আক্রমণাত্মক হয়, নিপীড়নমূলক হয়, নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমন করা যায় না।’

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া সহজ নয়’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই আমরা জবাব দেই না। কারণ উনি কখন কি বলেন এটা জনগণ বুঝতে পারে না। কি লক্ষ্যে বলেন, কি কারণে বলেন। এটার জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই, এটা প্রমাণ হবে কাজেই।’

সরকারের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে বলতেন আমরা (বিএনপি) নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না। আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন, সব রকম শক্তি নিয়োগ করে আপনারা জনগণের উপর অত্যাচার করছেন, নিপীড়ন করছেন এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। তার অর্থই হচ্ছে সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই। সরকার প্রমাণ করেছে, তারা ভয় পেয়েছে, অত্যন্ত ভীত হয়ে তারা এখন আমাদের উপর আক্রমণ করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বুধবার হওয়া বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সারাদেশে হামলা, গ্রেফতার ও মামলার বিষয় তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।