ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৪৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। এ হিসেবে আগামী ৭ মার্চ দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মহা. বশিরুল আলম।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরির শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৩ বা ২৪ মার্চ রোজা শুরু

শবে বরাতের দিন থেকে পরবর্তী ১৪-১৫ দিন পর শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান। হিসেব অনুযায়ী, শাওয়াল মাস ২৯ দিনে শেষ হলে রমজান শুরু হবে ২৩ মার্চ। আর ৩০ দিন পূর্ণ হলে ২৪ মার্চ থেকে রোজা রাখা শুরু করবেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে রোজা। তবে আরবি মাস ৩০ দিনের বেশি না হওয়ায় ২৩ অথবা ২৪ মার্চ রমজান মাস শুরু হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে পালিত হয়। সেই হিসাবে আগামী ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ৮ মার্চ (বুধবার)।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতটি মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে উদ্‌যাপন করে থাকেন। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।

মহিমান্বিত এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

আপডেট সময় ১২:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। এ হিসেবে আগামী ৭ মার্চ দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মহা. বশিরুল আলম।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরির শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৩ বা ২৪ মার্চ রোজা শুরু

শবে বরাতের দিন থেকে পরবর্তী ১৪-১৫ দিন পর শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান। হিসেব অনুযায়ী, শাওয়াল মাস ২৯ দিনে শেষ হলে রমজান শুরু হবে ২৩ মার্চ। আর ৩০ দিন পূর্ণ হলে ২৪ মার্চ থেকে রোজা রাখা শুরু করবেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে রোজা। তবে আরবি মাস ৩০ দিনের বেশি না হওয়ায় ২৩ অথবা ২৪ মার্চ রমজান মাস শুরু হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে পালিত হয়। সেই হিসাবে আগামী ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ৮ মার্চ (বুধবার)।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতটি মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে উদ্‌যাপন করে থাকেন। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।

মহিমান্বিত এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।