ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পর্যটকবাহী ২ হাউজবোটে সংঘর্ষ, বেঁচে গেল ২০ পর্যটক

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:১৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ১১২৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটকবাহী দুই হাউজবোটের সংঘর্ষে স্বপ্ন নামের একটি হাউজবোট পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় বোটে থাকা ২০ জন নারী-পুরুষ পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের পাশে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সচেতন মহল বলছেন, অসতর্ক থাকা, সরকারি-নিয়মনীতি অনুসরণ না করা, প্রশাসনের নজরদারি না থাকা ও অদক্ষ চালক দিয়ে নৌযান চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। আজ হয়ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। প্রশাসনের উচিত পর্যটকবাহী হাউজবোট ও নৌযানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা।

আবুল কালাম, জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা নদীর পাড়ে বসা ছিলাম। বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে তাহিরপুর উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা স্বপ্ন পর্যটকবাহী হাউজবোট নৌকাটি ২০ জন পর্যটক নিয়ে পাটলাই নদী দিয়ে টেকেরঘাটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। অপরদিকে, টেকেরঘাট এলাকা থেকে তাহিরপুরের দিকে যাওয়ার সময় জলযাত্রা হাউজবোট ৬-৭ জন পর্যটক নিয়ে যাচ্ছিল। এই দুটি হাউজবোট টাংগুয়ার হাওর পাড়ের ইসলামপুর গ্রামের পাশে পাটলাই নদী দিয়ে আসা মাত্রই পর্যটকবাহী স্বপ্ন ও জলযাত্রা হাউজবোট মুখমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় স্বপ্ন নামের পর্যটকবাহী হাউজবোটের নিচের (তলা) ফেটে পানিতে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এসে ডুবে যাওয়া হাউজবোটে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করে নৌকাটি নদীর পাড়ে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার পর দুটি হাউজবোট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে ডুবে যাওয়া পর্যটক ও তাদের মালামাল উদ্ধারকারী হাবিবুর রহমান, সেনারুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, আমরাসহ এলাকাবাসী সবাই মিলে ডুবে যাওযা হাউজবোট থেকে পর্যটক ও তাদের মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনি। কেউ কোনো আঘাত পায়নি। পর্যটকরা এখন নিরাপদে তাদের গন্তব্য চলে গেছেন।

হাওর নিয়ে কাজ করেন আহমেদ কবির। তিনি জানান, হাওরে আগত পর্যটক পরিবহনকারী হাউজবোট বলে আর নৌকা বলেন সবাইকেই সর্তকতা অবলম্বন করে চলাচল করা উচিত। নিয়মনীতি অনুসরণ না করে চলাচলের ফলেই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে নৌযানগুলে। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এই সব পর্যটকবাহী হাউজবোট ও নৌযানের বিষয়ে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, শুনেছি দুটি নৌকার সংঘর্ষে একটি নৌকা ডুবে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ, ডুবে যাওয়া স্বপ্ন হাউজবোটে গোপন ক্যামেরা পাওয়া গিয়েছিল। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছিল পর্যটকসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে। এছাড়াও সম্প্রতি সুনামগঞ্জের সাহেববাড়ি ঘাটে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয় জঙ্গা নামে একটি হাউজবোট।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পর্যটকবাহী ২ হাউজবোটে সংঘর্ষ, বেঁচে গেল ২০ পর্যটক

আপডেট সময় ১১:১৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটকবাহী দুই হাউজবোটের সংঘর্ষে স্বপ্ন নামের একটি হাউজবোট পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় বোটে থাকা ২০ জন নারী-পুরুষ পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের পাশে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সচেতন মহল বলছেন, অসতর্ক থাকা, সরকারি-নিয়মনীতি অনুসরণ না করা, প্রশাসনের নজরদারি না থাকা ও অদক্ষ চালক দিয়ে নৌযান চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। আজ হয়ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। প্রশাসনের উচিত পর্যটকবাহী হাউজবোট ও নৌযানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির মধ্যে রাখা।

আবুল কালাম, জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা নদীর পাড়ে বসা ছিলাম। বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে তাহিরপুর উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা স্বপ্ন পর্যটকবাহী হাউজবোট নৌকাটি ২০ জন পর্যটক নিয়ে পাটলাই নদী দিয়ে টেকেরঘাটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। অপরদিকে, টেকেরঘাট এলাকা থেকে তাহিরপুরের দিকে যাওয়ার সময় জলযাত্রা হাউজবোট ৬-৭ জন পর্যটক নিয়ে যাচ্ছিল। এই দুটি হাউজবোট টাংগুয়ার হাওর পাড়ের ইসলামপুর গ্রামের পাশে পাটলাই নদী দিয়ে আসা মাত্রই পর্যটকবাহী স্বপ্ন ও জলযাত্রা হাউজবোট মুখমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় স্বপ্ন নামের পর্যটকবাহী হাউজবোটের নিচের (তলা) ফেটে পানিতে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এসে ডুবে যাওয়া হাউজবোটে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করে নৌকাটি নদীর পাড়ে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার পর দুটি হাউজবোট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে ডুবে যাওয়া পর্যটক ও তাদের মালামাল উদ্ধারকারী হাবিবুর রহমান, সেনারুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, আমরাসহ এলাকাবাসী সবাই মিলে ডুবে যাওযা হাউজবোট থেকে পর্যটক ও তাদের মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনি। কেউ কোনো আঘাত পায়নি। পর্যটকরা এখন নিরাপদে তাদের গন্তব্য চলে গেছেন।

হাওর নিয়ে কাজ করেন আহমেদ কবির। তিনি জানান, হাওরে আগত পর্যটক পরিবহনকারী হাউজবোট বলে আর নৌকা বলেন সবাইকেই সর্তকতা অবলম্বন করে চলাচল করা উচিত। নিয়মনীতি অনুসরণ না করে চলাচলের ফলেই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে নৌযানগুলে। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এই সব পর্যটকবাহী হাউজবোট ও নৌযানের বিষয়ে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, শুনেছি দুটি নৌকার সংঘর্ষে একটি নৌকা ডুবে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ, ডুবে যাওয়া স্বপ্ন হাউজবোটে গোপন ক্যামেরা পাওয়া গিয়েছিল। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছিল পর্যটকসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে। এছাড়াও সম্প্রতি সুনামগঞ্জের সাহেববাড়ি ঘাটে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয় জঙ্গা নামে একটি হাউজবোট।