ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন ২ ফেব্রুয়ারি

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১২৮ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মেট্রোরেল লাইন ১-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বাচলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও একটি ফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে ডিপোর কাজ শুরু হবে।

প্রকল্পের দুটি অংশ। প্রথমটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত। এই অংশ হবে পাতালপথে। অন্য অংশটি নর্দ্দার যমুনা ফিউচার পার্কের কাছ থেকে পূর্বাচলের পথে। এই অংশ হবে উড়ালপথে এবং এর শেষ স্টেশন ও ডিপো হবে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জে। এমআরটি ১-এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পর্যন্ত দূরত্ব ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। এ পথে স্টেশন থাকবে ১২টি। অন্যদিকে নর্দ্দা থেকে পূর্বাচল পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। এই অংশ সম্পূর্ণ উড়াল ও স্টেশন থাকবে ৯টি।

২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটির এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, এ পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বিমানবন্দর থেকে ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুরে যাবে ট্রেন। নতুনবাজার থেকে ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে ট্রেন যাবে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত। আর কমলাপুর থেকে ১৬টি স্টেশনে থেমে পূর্বাচল টার্মিনাল যেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট।
এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা দেবে সরকার। প্রকল্পের নির্মাণকাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, রাজধানীর কাঞ্চন সেতু থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ৩১.২৪ কিলোমিটারের এ পথটি মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নামে পরিচিত হবে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে এমআরটি লাইন ১-এর ডিপো নির্মাণ করা হবে। পরে মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া পথের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজ কিছুটা এগিয়ে গেলে উড়াল অংশের কাজও শুরু করা হবে। একপর্যায়ে উড়াল ও মাটির নিচে দুই অংশের কাজই এক সঙ্গে চলবে। এমআরটি লাইন ১-এর পুরো পথে থাকবে ২১টি স্টেশন। বিমানবন্দর রুটের স্টেশনগুলো থাকবে বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩, খিলক্ষেত, নর্দ্দা, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, আফতাবনগর, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। পূর্বাচল রুটের স্টেশনগুলো হবে নতুনবাজার, নর্দ্দা, জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব ও পূর্বাচল টার্মিনাল এলাকায়। পাতালে থাকছে ১২টি স্টেশন ও উড়ালপথে থাকবে ৯টি স্টেশন। এর মধ্যে নতুনবাজার ও নর্দ্দা স্টেশন দুটি বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে।

প্রকল্পের নথি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনামতো ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এতে অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরের জীবনযাত্রায় ভিন্নমাত্রা ও গতি যোগ হবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে।

এমআরটি লাইন-১ পথটি বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুট নামে দুটি রুটে বিভক্ত। একটি রুট বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩-খিলক্ষেত, নর্দ্দা, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, আফতাবনগর, রামপুরা, মালিবাগ. রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। এই রুটটি মূলত পাতালপথের রুট। উড়ালপথের রুট নতুনবাজার থেকে শুরু হয়ে নর্দ্দা, জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব ও পূর্বাচল টার্মিনাল হয়ে পিতলগঞ্জ ডিপোতে গিয়ে শেষ হবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, এমআরটি লাইন-১ নির্মাণকালে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (টিএমপি) প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পূর্বাচল রুট ৩০০ ফুট সড়কের মাঝ দিয়ে উড়ালপথ নির্মিত হবে। এ সড়কের দুই পাশেই সার্ভিস রোড রয়েছে। এমআরটি লাইন ৬-এর মতো সড়কের মাঝ বরাবর শক্ত করে বাধা দেয়াল দিয়ে অভ্যন্তরে নির্মাণকাজ করা হবে। এতে এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন সার্ভিস রোড দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।

এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, যেসব এলাকায় ট্রাফিক ঘনত্ব বেশি, সেসব এলাকায় উড়াল মেট্রোরেল সড়কের মাঝ বরাবর নির্মাণের সময় জনদুর্ভোগ বেশি হয়। পূর্বাচল এখনো পরিপূর্ণ নগরে পরিণত হয়নি। তাই পূর্বাচল রুট উড়াল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। আর বিমানবন্দর রুট পাতালপথে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন ২ ফেব্রুয়ারি

আপডেট সময় ১১:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

 

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মেট্রোরেল লাইন ১-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বাচলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও একটি ফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে ডিপোর কাজ শুরু হবে।

প্রকল্পের দুটি অংশ। প্রথমটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত। এই অংশ হবে পাতালপথে। অন্য অংশটি নর্দ্দার যমুনা ফিউচার পার্কের কাছ থেকে পূর্বাচলের পথে। এই অংশ হবে উড়ালপথে এবং এর শেষ স্টেশন ও ডিপো হবে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জে। এমআরটি ১-এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পর্যন্ত দূরত্ব ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। এ পথে স্টেশন থাকবে ১২টি। অন্যদিকে নর্দ্দা থেকে পূর্বাচল পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। এই অংশ সম্পূর্ণ উড়াল ও স্টেশন থাকবে ৯টি।

২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটির এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, এ পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বিমানবন্দর থেকে ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুরে যাবে ট্রেন। নতুনবাজার থেকে ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে ট্রেন যাবে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত। আর কমলাপুর থেকে ১৬টি স্টেশনে থেমে পূর্বাচল টার্মিনাল যেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট।
এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা দেবে সরকার। প্রকল্পের নির্মাণকাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, রাজধানীর কাঞ্চন সেতু থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ৩১.২৪ কিলোমিটারের এ পথটি মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নামে পরিচিত হবে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে এমআরটি লাইন ১-এর ডিপো নির্মাণ করা হবে। পরে মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া পথের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজ কিছুটা এগিয়ে গেলে উড়াল অংশের কাজও শুরু করা হবে। একপর্যায়ে উড়াল ও মাটির নিচে দুই অংশের কাজই এক সঙ্গে চলবে। এমআরটি লাইন ১-এর পুরো পথে থাকবে ২১টি স্টেশন। বিমানবন্দর রুটের স্টেশনগুলো থাকবে বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩, খিলক্ষেত, নর্দ্দা, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, আফতাবনগর, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। পূর্বাচল রুটের স্টেশনগুলো হবে নতুনবাজার, নর্দ্দা, জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব ও পূর্বাচল টার্মিনাল এলাকায়। পাতালে থাকছে ১২টি স্টেশন ও উড়ালপথে থাকবে ৯টি স্টেশন। এর মধ্যে নতুনবাজার ও নর্দ্দা স্টেশন দুটি বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে।

প্রকল্পের নথি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনামতো ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এতে অল্প সময়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরের জীবনযাত্রায় ভিন্নমাত্রা ও গতি যোগ হবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে।

এমআরটি লাইন-১ পথটি বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুট নামে দুটি রুটে বিভক্ত। একটি রুট বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩-খিলক্ষেত, নর্দ্দা, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, আফতাবনগর, রামপুরা, মালিবাগ. রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। এই রুটটি মূলত পাতালপথের রুট। উড়ালপথের রুট নতুনবাজার থেকে শুরু হয়ে নর্দ্দা, জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব ও পূর্বাচল টার্মিনাল হয়ে পিতলগঞ্জ ডিপোতে গিয়ে শেষ হবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, এমআরটি লাইন-১ নির্মাণকালে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (টিএমপি) প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পূর্বাচল রুট ৩০০ ফুট সড়কের মাঝ দিয়ে উড়ালপথ নির্মিত হবে। এ সড়কের দুই পাশেই সার্ভিস রোড রয়েছে। এমআরটি লাইন ৬-এর মতো সড়কের মাঝ বরাবর শক্ত করে বাধা দেয়াল দিয়ে অভ্যন্তরে নির্মাণকাজ করা হবে। এতে এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন সার্ভিস রোড দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।

এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, যেসব এলাকায় ট্রাফিক ঘনত্ব বেশি, সেসব এলাকায় উড়াল মেট্রোরেল সড়কের মাঝ বরাবর নির্মাণের সময় জনদুর্ভোগ বেশি হয়। পূর্বাচল এখনো পরিপূর্ণ নগরে পরিণত হয়নি। তাই পূর্বাচল রুট উড়াল হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে। আর বিমানবন্দর রুট পাতালপথে হবে।