ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার যাদুকাটা, পাঠলাই, রক্তি ও বৌলাই নদীতে ঢলের পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার নদী গুলোর একাধিক স্থান দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি উপচে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও আরো জানা যায়, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলি মিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরো দু থেকে তিন দিন ভারী বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, উপজেলা প্রশাসন পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার টাংগুয়ার হাওরে পাড়ের কৃষক মানিক মিয়া জানান,পাহাড়ি ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢলের পানি টাংগুয়ার হাওর, শনি, মাটিয়ানসহ বিভিন্ন হাওরে প্রবেশ করছে। জেলেরাও মাছ ধরতে নেমেছে বহু দিন পর।
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক শফিক মিয়া জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সস্তিতে আছি। পাহাড়ি ঢলের পানি যাদুকাটা ও পাঠলাই নদী দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। মাটিয়ান হাওরে ডুকেছে। রাতের মধ্যেই হাওর পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হবে।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি জানিয়েছেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি পাত হলেই আমাদের এখানে পানির চাপ পরে। আজ সকাল থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে প্রবেশ করছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি পাত হলেই আমাদের এখানে পানির চাপ পরে। তাই পাহাড়ি ঢলের পানি নদী দিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।