ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশ একাডেমিতে এবার অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৮৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এবার প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

কৈফিয়ত তলব করা ওই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।

পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি ওই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। এবার প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে অন্তত ৫৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

একাডেমি সূত্র জানায়, ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। পরে ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরো ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো: তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন।

প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে ২৪ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সাথে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করেন।’

এতে আরো বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে ১০ এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি কপিতে দেখা গেছে, যেসব অভিযোগে ২৪ অক্টোবর এসআইদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, একই অভিযোগ ২১ অক্টোবরের চিঠিতেও। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই একই সময়ে জিমনেসিয়ামে ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং ইন অর্ডার টু ফেইস পলিটিক্যাল এইমড’ বিষয়ে ক্লাস ছিল।

সেদিন বিশেষ অতিথি বক্তা ছিলেন পুলিশ একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ মো: নজিবুর রহমান। সেদিন এই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসেন এবং হইচই করেন। তাকেও তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।

তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মো: মাসুদুর রহমান ভূঞার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পুলিশ একাডেমিতে এবার অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

আপডেট সময় ০৮:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এবার প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

কৈফিয়ত তলব করা ওই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।

পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি ওই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। এবার প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে অন্তত ৫৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

একাডেমি সূত্র জানায়, ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। পরে ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরো ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো: তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন।

প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে ২৪ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সাথে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করেন।’

এতে আরো বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে ১০ এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি কপিতে দেখা গেছে, যেসব অভিযোগে ২৪ অক্টোবর এসআইদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, একই অভিযোগ ২১ অক্টোবরের চিঠিতেও। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই একই সময়ে জিমনেসিয়ামে ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং ইন অর্ডার টু ফেইস পলিটিক্যাল এইমড’ বিষয়ে ক্লাস ছিল।

সেদিন বিশেষ অতিথি বক্তা ছিলেন পুলিশ একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ মো: নজিবুর রহমান। সেদিন এই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসেন এবং হইচই করেন। তাকেও তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।

তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মো: মাসুদুর রহমান ভূঞার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।