ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে ৯০ কোটি টাকা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১১০৫ বার পড়া হয়েছে

সমুদ্রের বুকে রানওয়ে সম্প্রসারণসহ কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের লক্ষ্যে চলমান উন্নয়নকাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সেখানে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্পের কাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যয়সংবলিত প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে আরও কিছু কাজ সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে লাগেজ বেল্ট একটি ছিল, এখন দুটি করা হবে। আয়তন বাড়বে, একই সঙ্গে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমও বাড়বে। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি হবে। সংশোধিত এই প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হবে।

চলতি মাসে বিমান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে (২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় বাস্তবায়িতব্য কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটির স্কোপ অব ওয়ার্ক বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, রানওয়ে সম্প্রসারণসহ কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, পুনর্বাসন সংশ্লিষ্ট কাজ (থোক), বিদ্যমান রানওয়ে, টেক্সিওয়ে বৃদ্ধিকরণ, রানওয়ে প্রশস্তকরণ, রানওয়ে শোল্ডার ও ওভার রান নির্মাণ ইত্যাদি কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। শুধু এলজিইডির ব্রিজ নির্মাণকাজ ৯৯ দশকি ৯০ শতাংশ, বিডব্লিউডিবির বাঁধ নির্মাণকাজ ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম-১, ডিভিওআর ও আইএলএস স্থাপন কাজ ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনসহ চলতি ২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান, এলজিইডি ও বাপাউবোর কাজ ইত্যাদি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে সভা হয়েছে। শিগগিরই তা সরকার অনুমোদিত হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব কাজ সম্পন্ন হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রাতেও ফ্লাইট ওঠানামা করবে সাগরঘেঁষা রানওয়েতে। একইভাবে কক্সবাজারে সারা দিন কাটিয়ে রাতে ফেরা যাবে উড়োজাহাজে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস ভূঁইয়া আমাদের সময়কে বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শতভাগ শেষ। নতুন ১৭০০ ফুটসহ এই বিমানবন্দরের রানওয়ে হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ ফুট। এখন দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সমৃদ্ধ বিমানবন্দর হবে কক্সবাজার। এখন বি-৭৭৭-৩০০ ইআর, বি-৭৪৭-৪০০-এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে।

ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, প্রকল্পে কিছু কাজ সংযোজন করায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই বিমানবন্দর শুধু পর্যটন নয়, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে ৯০ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৯:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সমুদ্রের বুকে রানওয়ে সম্প্রসারণসহ কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের লক্ষ্যে চলমান উন্নয়নকাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সেখানে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্পের কাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যয়সংবলিত প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে আরও কিছু কাজ সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে লাগেজ বেল্ট একটি ছিল, এখন দুটি করা হবে। আয়তন বাড়বে, একই সঙ্গে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমও বাড়বে। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি হবে। সংশোধিত এই প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হবে।

চলতি মাসে বিমান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে (২৭৭ কোটি ৮৮ লাখ) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় বাস্তবায়িতব্য কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটির স্কোপ অব ওয়ার্ক বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, রানওয়ে সম্প্রসারণসহ কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, পুনর্বাসন সংশ্লিষ্ট কাজ (থোক), বিদ্যমান রানওয়ে, টেক্সিওয়ে বৃদ্ধিকরণ, রানওয়ে প্রশস্তকরণ, রানওয়ে শোল্ডার ও ওভার রান নির্মাণ ইত্যাদি কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। শুধু এলজিইডির ব্রিজ নির্মাণকাজ ৯৯ দশকি ৯০ শতাংশ, বিডব্লিউডিবির বাঁধ নির্মাণকাজ ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম-১, ডিভিওআর ও আইএলএস স্থাপন কাজ ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনসহ চলতি ২৩-২৪ অর্থবছরে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান, এলজিইডি ও বাপাউবোর কাজ ইত্যাদি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে সভা হয়েছে। শিগগিরই তা সরকার অনুমোদিত হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব কাজ সম্পন্ন হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রাতেও ফ্লাইট ওঠানামা করবে সাগরঘেঁষা রানওয়েতে। একইভাবে কক্সবাজারে সারা দিন কাটিয়ে রাতে ফেরা যাবে উড়োজাহাজে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস ভূঁইয়া আমাদের সময়কে বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শতভাগ শেষ। নতুন ১৭০০ ফুটসহ এই বিমানবন্দরের রানওয়ে হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ ফুট। এখন দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সমৃদ্ধ বিমানবন্দর হবে কক্সবাজার। এখন বি-৭৭৭-৩০০ ইআর, বি-৭৪৭-৪০০-এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে।

ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, প্রকল্পে কিছু কাজ সংযোজন করায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই বিমানবন্দর শুধু পর্যটন নয়, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।