জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পরিকল্পিতভাবে পাঁচ বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে গুম করে মা-বাবা।
পরে এ ঘটনায় মাইশার বাবা জাহাঙ্গীর আলম মেয়ের নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে।
কেন্দুয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আলী হোসেন যুগান্তরকে জানান, জমি নিয়ে উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের দুল্লী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একই উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের সাতাশি গ্রামের আবদুল মজিদ গংদের বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে মেয়ে মাইশাকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রেখে গত শুক্রবার কেন্দুয়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন মাইশার বাবা জাহাঙ্গীর।
জিডির বরাতে ওসি জানান, গত ১১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর বাড়িতে ছিল না। তার স্ত্রী মেয়ে মাইশাকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পর দিন সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন মাইশা বিছানায় নেই। বিষয়টি তার স্ত্রী জাহাঙ্গীরকে ফোনে জানালে তিনি বাড়িতে এসে মেয়ে মাইশাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে না পেয়ে থানায় জিডি করেন এবং থানা পুলিশ বিষয়টি ডায়েরিভুক্ত করে গুরুত্বসহকারে অনুসন্ধান শুরু করে।
এদিকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং মাইশার বাবা-মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী মেয়েকে লুকিয়ে রাখার নাটকের কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের কথামতো শনিবার শিশু মাইশাকে তার খালার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার বাহেরচর গ্রাম থেকে স্থানীয় দাউদকান্দি থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
এদিকে উদ্ধার হওয়া শিশু মাইশাকে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি আলী হোসেন জানান।