ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রেমিকাসহ ২ বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৪১ বার পড়া হয়েছে

রংপুরে প্রেমিকাসহ ২ বোনকে হত্যার মামলায় মাহফুজার রহমান রিফাত (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় দেন।

একইসঙ্গে রিফাতকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মাহফুজার রহমান রিফাতের সহযোগী আরিফুল ইসলাম আরিফের (২৭) সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান রিফাত রংপুর মহানগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুখা মধ্যপাড়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে। সহযোগী আরিফুল ইসলাম আরিফ রংপুর সদর উপজেলার শাহাবাজপুর কলারখামার এলাকার মহুবুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে মহানগরীর মধ্য গণেশপুরের মমিনুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মীম রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় তার চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়াকে থাকার জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন। প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ওই রাতেই সুমাইয়ার বাড়িতে যান প্রেমিক মাহফুজার রহমান রিফাত। এ সময় মীমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় রিফাতের। পরে কথা কাটাকাটির জেরে তাকে হত্যা করেন রিফাত।

ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ঘরের সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন। এ সময় ঘরে থাকা মীমের চাচাতো বোন জান্নাতুল ঘটনা টের পেলে তাকেও শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ মেঝেতে ফেলে পালিয়ে যান রিফাত। ঘটনার পরেরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ২ বোনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মীমের বাবা মমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর রিফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রিফাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দায় স্বীকার করেন। তদন্ত শেষে রিফাত ও আরিফের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মজনু মিয়া ও আল-আমিন। ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বিচারক এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, মাহফুজার রহমান রিফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড, অপর আসামি আরিফ মামলার আলামত নিজ দখলে রেখে ও প্রধান আসামিকে আলামত গোপনে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

প্রেমিকাসহ ২ বোনকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৭:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রংপুরে প্রেমিকাসহ ২ বোনকে হত্যার মামলায় মাহফুজার রহমান রিফাত (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় দেন।

একইসঙ্গে রিফাতকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মাহফুজার রহমান রিফাতের সহযোগী আরিফুল ইসলাম আরিফের (২৭) সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান রিফাত রংপুর মহানগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুখা মধ্যপাড়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে। সহযোগী আরিফুল ইসলাম আরিফ রংপুর সদর উপজেলার শাহাবাজপুর কলারখামার এলাকার মহুবুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে মহানগরীর মধ্য গণেশপুরের মমিনুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মীম রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় তার চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়াকে থাকার জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন। প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ওই রাতেই সুমাইয়ার বাড়িতে যান প্রেমিক মাহফুজার রহমান রিফাত। এ সময় মীমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় রিফাতের। পরে কথা কাটাকাটির জেরে তাকে হত্যা করেন রিফাত।

ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ঘরের সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন। এ সময় ঘরে থাকা মীমের চাচাতো বোন জান্নাতুল ঘটনা টের পেলে তাকেও শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ মেঝেতে ফেলে পালিয়ে যান রিফাত। ঘটনার পরেরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ২ বোনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মীমের বাবা মমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর রিফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রিফাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দায় স্বীকার করেন। তদন্ত শেষে রিফাত ও আরিফের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মজনু মিয়া ও আল-আমিন। ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বিচারক এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, মাহফুজার রহমান রিফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড, অপর আসামি আরিফ মামলার আলামত নিজ দখলে রেখে ও প্রধান আসামিকে আলামত গোপনে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।