ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বগুড়ায় বিচারক বদলির পর সেই প্রধান শিক্ষক ওএসডি

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৩২ বার পড়া হয়েছে

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে বদলির পর বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভিএম) প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের অভিভাবকদের অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠে। এতে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে জনস্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ঢাকায় সংযুক্তের আদেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, তিনি রোববার বিকেল থেকে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন। এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে আইন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২১ মার্চ বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের উপস্থিতিতে তার কক্ষে এক বিচারকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মাকে অপদস্থ করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে ওই দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ের সাথে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ২১ মার্চ সকাল ১১টার দিকে প্রধানশিক্ষকের ডাকে চার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় এক অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

অভিভাবকদের অপদস্ত ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বদলি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ওই আদেশ দেয়া হয়।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এই সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বগুড়ায় বিচারক বদলির পর সেই প্রধান শিক্ষক ওএসডি

আপডেট সময় ০৯:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে বদলির পর বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভিএম) প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের অভিভাবকদের অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠে। এতে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে জনস্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ঢাকায় সংযুক্তের আদেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, তিনি রোববার বিকেল থেকে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন। এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে আইন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২১ মার্চ বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের উপস্থিতিতে তার কক্ষে এক বিচারকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মাকে অপদস্থ করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে ওই দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ের সাথে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ২১ মার্চ সকাল ১১টার দিকে প্রধানশিক্ষকের ডাকে চার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় এক অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

অভিভাবকদের অপদস্ত ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বদলি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ওই আদেশ দেয়া হয়।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এই সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।