বগুড়ার শাজাহানপুরে আজ বিপন্ন প্রজাতির নয়টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে র্যাব-১২। বিক্রি নিষিদ্ধ কচ্ছপ কেনাবেচায় জড়িত থাকার অপরাধে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ডুহডুগি বড়গাছা এলাকার শ্রী শুকারু চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী সুবাস চন্দ্র রায় (৩৫), পাথারু রায়ের ছেলে মানিক রায় (২০) ও ফলিরাম রায়ের ছেলে প্রদীপ রায়।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। ‘মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের জোব্বার হোটেলের সামনে অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে কচ্ছপ ও বহনকারী তিনজনকে আটক করা হয়।’
মীর মনির হোসেন বলেন, আটককৃত তিনজন অবৈধভাবে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ পাচার ও কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া সুন্ধি প্রজাতির কচ্ছপ তারা ফেনী থেকে সংগ্রহ করে বগুড়া হয়ে নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) ২০১২ আইন অনুযায়ী কাছিম ধরা, শিকার করা, পাচার করা, ক্রয়-বিক্রি ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ বিপন্ন সুন্ধি প্রজাতির। একসময় এটি দেশের জলাশয়গুলোতে প্রচুর দেখা গেলেও বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। ক্রমাগত শিকারের কারণে এটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।
কোম্পানি কমান্ডার বলেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ১২ অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শাজাহানপুর থানায় পাঠানো হয়েছে।