ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ফের কয়লা উত্তোলন শুরু

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৪১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১২৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া থেকে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর নির্ধারিত সময়ের আগেই খনিটি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ৩০৬ ফেইস থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা উত্তোলনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নতুন ফেইস উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে বলেও তখন জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রথম দিকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টন কয়লা উত্তোলন হবে। পরবর্তী সময়ে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টন করে কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করছে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ।

১ হাজার ১১৩ ফেইসটির রোডওয়ে উন্নয়নকাজ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়। ওই সময় খনির ভূগর্ভের রোডওয়ে উন্নয়নকালে বেল্ট গেট এবং ওপেন অব কাট রোডওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরপর দুটি বড় ধরনের রুফফল (উপরিঅংশে ধস) সংঘটিত হয়। এর ফলে বিসিএমসিএল ও চীনা কনসোর্টিয়াম ১ হাজার ১১৩ ফেইস তথা খনির সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে। পরে আগের ডিজাইন পরিবর্তন করে প্রায় ৯০ মিটার দৈর্ঘের নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণকাজ শুরু করে।

রুফফলের কারণে নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণকাজের জন্য ওই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করার পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পিছিয়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়ের বিশ দিন আগেই এ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিক-নির্দেশনায় বিসিএমসিএলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চীনা কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা ও স্থানীয় শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় আবারও দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

খনির নতুন ১ হাজার ১১৩ ফেইসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ টন। এই ফেইস থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তোলিত কয়লা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।

বিসিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেস থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার শিফট থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। এই ফেইস থেকে আনুমানিক চার মাস কয়লা উত্তোলন করা যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ফের কয়লা উত্তোলন শুরু

আপডেট সময় ০৭:৪১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া থেকে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর নির্ধারিত সময়ের আগেই খনিটি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ৩০৬ ফেইস থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা উত্তোলনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নতুন ফেইস উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে বলেও তখন জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রথম দিকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টন কয়লা উত্তোলন হবে। পরবর্তী সময়ে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টন করে কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করছে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ।

১ হাজার ১১৩ ফেইসটির রোডওয়ে উন্নয়নকাজ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়। ওই সময় খনির ভূগর্ভের রোডওয়ে উন্নয়নকালে বেল্ট গেট এবং ওপেন অব কাট রোডওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরপর দুটি বড় ধরনের রুফফল (উপরিঅংশে ধস) সংঘটিত হয়। এর ফলে বিসিএমসিএল ও চীনা কনসোর্টিয়াম ১ হাজার ১১৩ ফেইস তথা খনির সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে। পরে আগের ডিজাইন পরিবর্তন করে প্রায় ৯০ মিটার দৈর্ঘের নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণকাজ শুরু করে।

রুফফলের কারণে নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণকাজের জন্য ওই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করার পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পিছিয়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়ের বিশ দিন আগেই এ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিক-নির্দেশনায় বিসিএমসিএলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চীনা কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা ও স্থানীয় শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় আবারও দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

খনির নতুন ১ হাজার ১১৩ ফেইসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ টন। এই ফেইস থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তোলিত কয়লা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।

বিসিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেস থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার শিফট থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। এই ফেইস থেকে আনুমানিক চার মাস কয়লা উত্তোলন করা যাবে।