ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বরিশালে বিএনপি-আ’লীগের পাশাপাশি সমাবেশের ডাক, উৎকণ্ঠা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩৫ বার পড়া হয়েছে

১০ দফা দাবি আদায়ে বরিশালে আজ শনিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। নগরীর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বেলা দুইটায় এ সমাবেশ হবে। এদিকে হঠাৎ করে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সমাবেশের অদূরে ফজলুল হক অ্যাভিনিউর নগর ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগ। বেলা তিনটার দিকে এ কর্মসূচি হবে।

আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুই দলের ডাকা এ সমাবেশ ঘিরে নগরজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করে।

বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে জানান, বিকেল তিনটায় ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ের নগর ভবনের সামনে সমাবেশ ডাকা হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস রোধে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন তিনি নিজেই।

একই সময়ে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সমাবেশ তারা করবে, আমরা আমাদেরটা করব। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই।’

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, সমাবেশের কথা তাদের জানানো হয়েছে। মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘তাঁরা সমাবেশ করবেন তাঁদের মতো। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারি দল সমাবেশ ডেকেছে, দেশটাই তো তাদের। আমরা ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের রাস্তায় সমাবেশ করতে দিল না। এখন কীভাবে ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে প্রশাসন অনুমতি দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ পূর্বনির্ধারিত। এ সমাবেশ আমরা করব। তাতে বাধাবিঘ্ন মানব না।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসর রহমান বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার অভিপ্রায়। এ সমাবেশ আওয়ামী লীগ বিএনপির কাউন্টার হিসেবে দিয়েছে। এতে নগরের পরিবেশ উত্তপ্ত থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সমাবেশের খবর জানেন না জানিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কখন ডাকল, কোথায় ডাকল।’ বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ জিলা স্কুল মাঠে। আবার আওয়ামী লীগও যদি সমাবেশ ডাকে ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে, তাহলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’

নীরব বিএনপির হেভিওয়েট পাঁচ নেতা: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের কোনো দায়িত্ব না দেওয়ায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারসহ হেভিওয়েট পাঁচ বিশেষ অতিথি অনেকটাই নীরব। ওই সব নেতা দায়িত্ব না পাওয়ায় তাঁদের সমর্থকরাও দূরে সরে আছেন। তাঁরা হচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন এবং সরোয়ার।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বরিশালে বিএনপি-আ’লীগের পাশাপাশি সমাবেশের ডাক, উৎকণ্ঠা

আপডেট সময় ১১:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

১০ দফা দাবি আদায়ে বরিশালে আজ শনিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। নগরীর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বেলা দুইটায় এ সমাবেশ হবে। এদিকে হঠাৎ করে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সমাবেশের অদূরে ফজলুল হক অ্যাভিনিউর নগর ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগ। বেলা তিনটার দিকে এ কর্মসূচি হবে।

আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুই দলের ডাকা এ সমাবেশ ঘিরে নগরজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করে।

বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে জানান, বিকেল তিনটায় ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ের নগর ভবনের সামনে সমাবেশ ডাকা হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস রোধে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন তিনি নিজেই।

একই সময়ে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সমাবেশ তারা করবে, আমরা আমাদেরটা করব। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই।’

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, সমাবেশের কথা তাদের জানানো হয়েছে। মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘তাঁরা সমাবেশ করবেন তাঁদের মতো। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারি দল সমাবেশ ডেকেছে, দেশটাই তো তাদের। আমরা ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের রাস্তায় সমাবেশ করতে দিল না। এখন কীভাবে ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে প্রশাসন অনুমতি দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ পূর্বনির্ধারিত। এ সমাবেশ আমরা করব। তাতে বাধাবিঘ্ন মানব না।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসর রহমান বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার অভিপ্রায়। এ সমাবেশ আওয়ামী লীগ বিএনপির কাউন্টার হিসেবে দিয়েছে। এতে নগরের পরিবেশ উত্তপ্ত থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সমাবেশের খবর জানেন না জানিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কখন ডাকল, কোথায় ডাকল।’ বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ জিলা স্কুল মাঠে। আবার আওয়ামী লীগও যদি সমাবেশ ডাকে ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে, তাহলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’

নীরব বিএনপির হেভিওয়েট পাঁচ নেতা: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের কোনো দায়িত্ব না দেওয়ায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারসহ হেভিওয়েট পাঁচ বিশেষ অতিথি অনেকটাই নীরব। ওই সব নেতা দায়িত্ব না পাওয়ায় তাঁদের সমর্থকরাও দূরে সরে আছেন। তাঁরা হচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন এবং সরোয়ার।