ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বরিশালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১১৮ বার পড়া হয়েছে

সরস্বতী পূজা হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়।

জ্ঞানের আলো ছড়াতে আগামী বৃহষ্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে সরস্বতী পূজা। এ পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের মৃৎ শিল্পীরা। তাদের যেন এখন বিশ্রামেরও সময় নেই। রোদে শুকিয়ে মাটির অলংকার পরানোর কাজ শেষে এখন বেশিরভাগেই ব্যস্ত প্রতিমায় রং করা নিয়ে। যে ব্যস্ততায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা অংশগ্রহণ করছেন সমান তালে।

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা পাল পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী শিবু পাল, তার স্ত্রী কল্পনা পাল বলেন, সারা বছরই বিভিন্ন পূজাকে ঘিরে প্রতিমা তৈরি করেন তারা। আবার অর্ডার অনুযায়ী বাড়িতে গিয়েও প্রতিমা তৈরি করে থাকেন। তবে বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন পূজা অনুষ্ঠিত হবার কাররণ মৌসুমের সময় অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করেন তারা। এখন সরস্বতী প্রতিমাই তৈরির কাজ শেষ করছেন।

তারা আরও বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পঞ্চমী তিথি শুরু হয়ে শেষ হবে রাতে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি হিন্দু বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

কানাই পাল ও লিটন পাল নামের অপর দুই মৃৎশিল্পী বলেন, দুই রকমের প্রতিমা তৈররি করেন তারা। ছাঁচে (ডাইস) নির্মিত এবং ব্যানায় নির্মিত প্রতিমা। ছাঁচে নির্মিত প্রতিমা ৭০ থেকে ২০০ টাকা এবং ব্যানায় নির্মিত প্রতিমা ৭০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন তারা।

বিক্রির উদ্দেশে শতাধিক প্রতিমা তৈরি করেছেন তারা। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পছন্দ মতো প্রতিমা তৈরির অর্ডার দিয়েছেন। ওই প্রতিমার কাজও শেষ করে তা ডেলিভারি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। পুরুষ শিল্পীদের সঙ্গে নারী শিল্পীরাও কাজ করছেন সমান তালে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজল দাশ গুপ্ত বলেন, প্রতি বছরের মতো জ্ঞানের আলো ছড়াতে আবারও এসেছেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎস তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।

শাস্ত্র মতে, এদিন দেবীর কাছে বিদ্যার অর্জনের প্রার্থনা করেন ভক্তরা। পূজার সময় ভক্তরা প্রিয় দেবীর শ্রীচরণে অঞ্জলি প্রদান করে থাকেন। এছাড়া পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ভক্তরাও সে মন্ত্র মনে মনে পাঠ করতে থাকেন এবং দেবীকে স্মরণ করেন।

শাস্ত্রীয় মতে আরও জানা যায়, শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা যায়। এ পূজা সাধারণ পূজার নিয়মেই হয়। তবে কয়েকটি সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম ও যবের শীষ এবং বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল অন্যতম।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বরিশালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

আপডেট সময় ০৯:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

সরস্বতী পূজা হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়।

জ্ঞানের আলো ছড়াতে আগামী বৃহষ্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে সরস্বতী পূজা। এ পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের মৃৎ শিল্পীরা। তাদের যেন এখন বিশ্রামেরও সময় নেই। রোদে শুকিয়ে মাটির অলংকার পরানোর কাজ শেষে এখন বেশিরভাগেই ব্যস্ত প্রতিমায় রং করা নিয়ে। যে ব্যস্ততায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা অংশগ্রহণ করছেন সমান তালে।

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা পাল পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী শিবু পাল, তার স্ত্রী কল্পনা পাল বলেন, সারা বছরই বিভিন্ন পূজাকে ঘিরে প্রতিমা তৈরি করেন তারা। আবার অর্ডার অনুযায়ী বাড়িতে গিয়েও প্রতিমা তৈরি করে থাকেন। তবে বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন পূজা অনুষ্ঠিত হবার কাররণ মৌসুমের সময় অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করেন তারা। এখন সরস্বতী প্রতিমাই তৈরির কাজ শেষ করছেন।

তারা আরও বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পঞ্চমী তিথি শুরু হয়ে শেষ হবে রাতে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি হিন্দু বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

কানাই পাল ও লিটন পাল নামের অপর দুই মৃৎশিল্পী বলেন, দুই রকমের প্রতিমা তৈররি করেন তারা। ছাঁচে (ডাইস) নির্মিত এবং ব্যানায় নির্মিত প্রতিমা। ছাঁচে নির্মিত প্রতিমা ৭০ থেকে ২০০ টাকা এবং ব্যানায় নির্মিত প্রতিমা ৭০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন তারা।

বিক্রির উদ্দেশে শতাধিক প্রতিমা তৈরি করেছেন তারা। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পছন্দ মতো প্রতিমা তৈরির অর্ডার দিয়েছেন। ওই প্রতিমার কাজও শেষ করে তা ডেলিভারি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। পুরুষ শিল্পীদের সঙ্গে নারী শিল্পীরাও কাজ করছেন সমান তালে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজল দাশ গুপ্ত বলেন, প্রতি বছরের মতো জ্ঞানের আলো ছড়াতে আবারও এসেছেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎস তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত।

শাস্ত্র মতে, এদিন দেবীর কাছে বিদ্যার অর্জনের প্রার্থনা করেন ভক্তরা। পূজার সময় ভক্তরা প্রিয় দেবীর শ্রীচরণে অঞ্জলি প্রদান করে থাকেন। এছাড়া পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ভক্তরাও সে মন্ত্র মনে মনে পাঠ করতে থাকেন এবং দেবীকে স্মরণ করেন।

শাস্ত্রীয় মতে আরও জানা যায়, শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা যায়। এ পূজা সাধারণ পূজার নিয়মেই হয়। তবে কয়েকটি সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম ও যবের শীষ এবং বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল অন্যতম।