ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বরিশালে ১৬ বছর কালভার্ট ভেঙে খালে, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১২৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের কুমারপাড়া খালের উপর নির্মিত কালভার্ট ২০০৭ সালে ভেঙে যায়। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় বন্যার পানির তোড়ে দেবে গিয়ে একমাথা খালে পড়ে।

প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের তোড়ে কালভার্টের অপর প্রান্ত ভেঙে পড়ে। এতে ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বাকেরগঞ্জ বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের বাংলাবাজার থেকে কাফিলা বাজার হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নলছিটির মোল্লারহাট সংযোগ সড়কের কালভার্ট ভেঙে পড়ায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করছে। এখন যে কোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০০ সালে কুমারপাড়া খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করে।

কালভার্ট নির্মাণের ৭ বছরে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার ১৬ বছর পার হলেও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত খবর নেয়নি।

তবে ২০০০ সালে কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয়রা। অবশেষে নির্মাণের ৭ বছর যেতে না যেতেই বন্যায় পানির তোরে ভেঙে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়েই প্রতিদিন ইউনিয়নের বিহারীপুর সিনিয়র ফাজেল মাদ্রাসা, পোড়াচিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাফিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাফিলা রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোট পুয়াউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আফসার উদ্দিন ডিগ্রী কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীরা বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগে চলাচল করছে।

ইউনিয়নের কাফিলা, কৃষ্ণ নগড়, পোড়াচিনা, ছোট পুইয়াউটা,বিহারিপুর ৫ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করে এই কালভার্ট দিয়ে। এখন ভেঙে পড়া কালভার্ট মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিহারীপুর হোসাইনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা সুপার মহজ্জেম হোসেন আনসারী জানান, কালভার্ট ভেঙে পড়ায় জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান পানি পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে।

এছাড়াও কোন প্রকার যানবাহন না চালায় ১/২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, কালভার্ট ভেঙে পড়েছে প্রায় ১৬ বছর আগে। আমি নিয়ামতি ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়েছি এক বছর হয়েছে।

কালভার্টটি এলজিইডির আওতাধীন কুমারপাড়া খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সড়ক পথে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হবে। এবং আমিও প্রচেষ্টা চালাচ্ছি জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট অতি দ্রুত পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বরিশালে ১৬ বছর কালভার্ট ভেঙে খালে, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ১১:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের কুমারপাড়া খালের উপর নির্মিত কালভার্ট ২০০৭ সালে ভেঙে যায়। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় বন্যার পানির তোড়ে দেবে গিয়ে একমাথা খালে পড়ে।

প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের তোড়ে কালভার্টের অপর প্রান্ত ভেঙে পড়ে। এতে ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বাকেরগঞ্জ বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের বাংলাবাজার থেকে কাফিলা বাজার হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নলছিটির মোল্লারহাট সংযোগ সড়কের কালভার্ট ভেঙে পড়ায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করছে। এখন যে কোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০০ সালে কুমারপাড়া খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণ করে।

কালভার্ট নির্মাণের ৭ বছরে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার ১৬ বছর পার হলেও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত খবর নেয়নি।

তবে ২০০০ সালে কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয়রা। অবশেষে নির্মাণের ৭ বছর যেতে না যেতেই বন্যায় পানির তোরে ভেঙে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দিয়েই প্রতিদিন ইউনিয়নের বিহারীপুর সিনিয়র ফাজেল মাদ্রাসা, পোড়াচিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাফিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাফিলা রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোট পুয়াউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আফসার উদ্দিন ডিগ্রী কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীরা বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগে চলাচল করছে।

ইউনিয়নের কাফিলা, কৃষ্ণ নগড়, পোড়াচিনা, ছোট পুইয়াউটা,বিহারিপুর ৫ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করে এই কালভার্ট দিয়ে। এখন ভেঙে পড়া কালভার্ট মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিহারীপুর হোসাইনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা সুপার মহজ্জেম হোসেন আনসারী জানান, কালভার্ট ভেঙে পড়ায় জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান পানি পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে।

এছাড়াও কোন প্রকার যানবাহন না চালায় ১/২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, কালভার্ট ভেঙে পড়েছে প্রায় ১৬ বছর আগে। আমি নিয়ামতি ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়েছি এক বছর হয়েছে।

কালভার্টটি এলজিইডির আওতাধীন কুমারপাড়া খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সড়ক পথে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হবে। এবং আমিও প্রচেষ্টা চালাচ্ছি জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট অতি দ্রুত পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।