ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বর্ষার প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে দৃষ্টিনন্দন কদম ফুল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ১১৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রকৃতির অনিদ্যসুন্দর একটি ফুলের নাম কদম। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত। রূপসী তরুর অন্যতম রূপবতী হলো কদম ফুল। গাছে গাছে সবুজ পাতার ডালে শ্রাবণের এই ভরা মৌসুমে বিলুপ্ত প্রায় ফুলটি নানা লোকালয়ে পাখা মেলতে শুরু করেছে। বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে ছন্দ তুলছে যেন নিজ মননে। শিবচরের পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন।

আজ প্রকৃতি যেন কানের দুলে সেজেছে কদম ফুল দিয়ে। কবিতায় গানে বর্ষাকে বর্ণনা করতে বারবার এসেছে কদম ফুল প্রসঙ্গ। ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে অথবা বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ গানগুলো যেন প্রকৃতিতে বর্ষার রূপকে ছবির মতো তুলে ধরে। গ্রাম-বাংলার প্রকৃতি আর বৃষ্টির প্রতিটি রিমঝিম ফোঁটা যেন সবাইকে সম্মোহিত করছে।

মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে এখন হলুদে সেজেঁছে সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে কদম ফুলের। এই বিরামহীন বর্ষনে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। উপজেলার শিবচর-পাঁচ্চর সড়কের দুই পাশে অসংখ্য কদম ফুল গাছ দেখা গেছে। যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্নের অসংখ্য কদম ফুল। অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা গেছে কদম ফুল হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, আষাঢ়-শ্রাবণে কদম গাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকত। কদম ফুল সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি দিত। তরুণ-তরুণীরা কদম ফুল তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিত। মেয়েরা পরতো খোঁপায়। খেলায় মেতে উঠতো শিশুরাও। ফলে কদম ফুলের গাছ ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্রে কাজে ব্যবহার হতো। কদম গাছ কমে যাওয়ায় এখন মানুষ ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে। সবাই এখন বাড়ির আঙ্গিনায় ফলমূল ও ফুলের গাছ লাগাচ্ছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে কদম ফুলের গাছ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ’র সাধারণ সম্পাদক এস.এম.দেলোয়ার হোসাইন জানান, ব্যক্তিপর্যায়ে ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কদম গাছ লাগানো প্রয়োজন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষায় কদমগাছ রোপণ ও এর রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।

উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সৌন্দর্যেও মন ভালো রাখতে হলে কদম ফুলের বিকল্প নেই। এ বর্ষায় আমাদের সবাইকে একপক্ষে একটি করে কদম ফুলের গাছ লাগানো প্রয়োজন।

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষা এলেই বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে ভরে ওঠে। সেইসাথে পথে-প্রান্তে কদম গাছে ফুটে থাকে ফুল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষায় কদম ফুলের অবদান রয়েছে। ঘ্রাণে, বর্ণে, সৌন্দর্যে ও ঔষধি গুণে কদমগাছ পরিপূর্ণ হলেও কালের বিবর্তনে কমছে কদম গাছের সংখ্যা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের গাছ রোপণ করার আহ্বান জানাই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বর্ষার প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে দৃষ্টিনন্দন কদম ফুল

আপডেট সময় ১১:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

প্রকৃতির অনিদ্যসুন্দর একটি ফুলের নাম কদম। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত। রূপসী তরুর অন্যতম রূপবতী হলো কদম ফুল। গাছে গাছে সবুজ পাতার ডালে শ্রাবণের এই ভরা মৌসুমে বিলুপ্ত প্রায় ফুলটি নানা লোকালয়ে পাখা মেলতে শুরু করেছে। বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে ছন্দ তুলছে যেন নিজ মননে। শিবচরের পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন।

আজ প্রকৃতি যেন কানের দুলে সেজেছে কদম ফুল দিয়ে। কবিতায় গানে বর্ষাকে বর্ণনা করতে বারবার এসেছে কদম ফুল প্রসঙ্গ। ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে অথবা বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ গানগুলো যেন প্রকৃতিতে বর্ষার রূপকে ছবির মতো তুলে ধরে। গ্রাম-বাংলার প্রকৃতি আর বৃষ্টির প্রতিটি রিমঝিম ফোঁটা যেন সবাইকে সম্মোহিত করছে।

মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে এখন হলুদে সেজেঁছে সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে কদম ফুলের। এই বিরামহীন বর্ষনে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। উপজেলার শিবচর-পাঁচ্চর সড়কের দুই পাশে অসংখ্য কদম ফুল গাছ দেখা গেছে। যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্নের অসংখ্য কদম ফুল। অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা গেছে কদম ফুল হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, আষাঢ়-শ্রাবণে কদম গাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকত। কদম ফুল সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি দিত। তরুণ-তরুণীরা কদম ফুল তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিত। মেয়েরা পরতো খোঁপায়। খেলায় মেতে উঠতো শিশুরাও। ফলে কদম ফুলের গাছ ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্রে কাজে ব্যবহার হতো। কদম গাছ কমে যাওয়ায় এখন মানুষ ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে। সবাই এখন বাড়ির আঙ্গিনায় ফলমূল ও ফুলের গাছ লাগাচ্ছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে কদম ফুলের গাছ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশ’র সাধারণ সম্পাদক এস.এম.দেলোয়ার হোসাইন জানান, ব্যক্তিপর্যায়ে ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কদম গাছ লাগানো প্রয়োজন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষায় কদমগাছ রোপণ ও এর রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।

উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সৌন্দর্যেও মন ভালো রাখতে হলে কদম ফুলের বিকল্প নেই। এ বর্ষায় আমাদের সবাইকে একপক্ষে একটি করে কদম ফুলের গাছ লাগানো প্রয়োজন।

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষা এলেই বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে ভরে ওঠে। সেইসাথে পথে-প্রান্তে কদম গাছে ফুটে থাকে ফুল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষায় কদম ফুলের অবদান রয়েছে। ঘ্রাণে, বর্ণে, সৌন্দর্যে ও ঔষধি গুণে কদমগাছ পরিপূর্ণ হলেও কালের বিবর্তনে কমছে কদম গাছের সংখ্যা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের গাছ রোপণ করার আহ্বান জানাই।