ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায় ইবির সেই অন্তরা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:১৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৩৩ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন। একইসাথে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও তার আটকে থাকা তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জমা দেন অন্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ৪ মার্চ ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্তরাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর জন্য রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুই দফায় নোটিশ দেয়া হয়। তবে ওই নোটিশে বহিষ্কারের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কোনো ধারা উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি প্রদান এবং তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ করেন অন্তরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর সেটি অ্যাকাডেমিক শাখায় পাঠিয়েছি। আইন প্রশাসকের মতামত নিয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

অন্তরা বলেন, আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি আমি উক্ত র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় কোনোভাবেই অংশ নেইনি। তাছাড়া আমাকে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কারণও নোটিশে উল্লেখ কর হয়নি। যদি আমি দোষীও হই, পরীক্ষা তো এ ঘটনার আগেই শেষ হয়েছে। তাহলে রেজাল্ট কেন আটকে থাকবে?

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ফল স্থগিতের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ভালো জানে। আমরা রেজাল্ট সাবমিট করার সময় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে (অন্তরা) সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হলো।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাকে (অন্তরা) অব্যহতি দেয়া হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। কখন পরীক্ষা হয়েছে সেটা মূখ্য বিষয় নয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা হলেন শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। অন্তরা বাদে সকলেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিসহ মোট চারটি কমিটি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৪ মার্চ অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চায় ইবির সেই অন্তরা

আপডেট সময় ০৭:১৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন। একইসাথে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও তার আটকে থাকা তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জমা দেন অন্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ৪ মার্চ ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্তরাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর জন্য রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুই দফায় নোটিশ দেয়া হয়। তবে ওই নোটিশে বহিষ্কারের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কোনো ধারা উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি প্রদান এবং তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ করেন অন্তরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর সেটি অ্যাকাডেমিক শাখায় পাঠিয়েছি। আইন প্রশাসকের মতামত নিয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

অন্তরা বলেন, আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি আমি উক্ত র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় কোনোভাবেই অংশ নেইনি। তাছাড়া আমাকে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কারণও নোটিশে উল্লেখ কর হয়নি। যদি আমি দোষীও হই, পরীক্ষা তো এ ঘটনার আগেই শেষ হয়েছে। তাহলে রেজাল্ট কেন আটকে থাকবে?

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ফল স্থগিতের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ভালো জানে। আমরা রেজাল্ট সাবমিট করার সময় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে (অন্তরা) সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হলো।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাকে (অন্তরা) অব্যহতি দেয়া হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। কখন পরীক্ষা হয়েছে সেটা মূখ্য বিষয় নয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা হলেন শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। অন্তরা বাদে সকলেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিসহ মোট চারটি কমিটি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৪ মার্চ অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।