ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান অনেক বেড়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

তিনি বলেন, ই-গেট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরো বৃদ্ধি পাবে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সাথে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।

আজ রোববার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমাদের পাসপোর্টের সেবা অনেক উন্নত হয়েছে, আগের মতো বছর খানেক বসে থাকতে হয় না। যেগুলো অবাঞ্ছিত সেগুলোতে সময় লাগে। অধিকাংশ পাসপোর্ট পেয়ে যান। শেখ হাসিনা থাকলে আমরা অনেক উন্নত অবস্থানে পৌঁছাব। ই-পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে মাত্র ১৮ সেকেন্ড ব্যয় হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করবো। (উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড) আমাদের গোপন করার কিছুই নেই। তবে বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশীদের ‘মাতব্বরি’ দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইলেকশন অংশগ্রহণমূলক হয়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়। ওইসব দেশে ইলেকশনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন শুরু হয়, আমাদের এক বছর আগেই শুরু হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, আমাদের দেশের জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধে রন্ধে এই প্রিন্সিপলগুলো আছে, তাই আমাদের অন্যরা মাতব্বরি করে পরামর্শ দেয়ার দরকার নাই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। তবে আমরা অঙ্গীকার করেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন যে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে এবং সবাইকে নিয়ে আমরা তা করতে চাই। যারা নির্বাচনে আসবেন; আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি; আমার দল বিশ্বাস করে; ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’।

এসময় পাসপোর্ট ও বিমানবন্দরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান অনেক বেড়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৪৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

তিনি বলেন, ই-গেট কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরো বৃদ্ধি পাবে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সাথে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।

আজ রোববার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমাদের পাসপোর্টের সেবা অনেক উন্নত হয়েছে, আগের মতো বছর খানেক বসে থাকতে হয় না। যেগুলো অবাঞ্ছিত সেগুলোতে সময় লাগে। অধিকাংশ পাসপোর্ট পেয়ে যান। শেখ হাসিনা থাকলে আমরা অনেক উন্নত অবস্থানে পৌঁছাব। ই-পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে মাত্র ১৮ সেকেন্ড ব্যয় হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করবো। (উই হ্যাভ নাথিং টু হাইড) আমাদের গোপন করার কিছুই নেই। তবে বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশীদের ‘মাতব্বরি’ দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইলেকশন অংশগ্রহণমূলক হয়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়। ওইসব দেশে ইলেকশনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন শুরু হয়, আমাদের এক বছর আগেই শুরু হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, আমাদের দেশের জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধে রন্ধে এই প্রিন্সিপলগুলো আছে, তাই আমাদের অন্যরা মাতব্বরি করে পরামর্শ দেয়ার দরকার নাই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। তবে আমরা অঙ্গীকার করেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন যে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে এবং সবাইকে নিয়ে আমরা তা করতে চাই। যারা নির্বাচনে আসবেন; আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি; আমার দল বিশ্বাস করে; ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’।

এসময় পাসপোর্ট ও বিমানবন্দরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস