ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় শিশু গৃহকর্মীকে হত্যা করেন ডলি

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১২২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর কলাবাগানে শিশু গৃহকর্মী হেনা মাঝেমধ্যে গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন ডলির বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলত বলে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শিশু গৃহকর্মীটিকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহকর্ত্রীর বাচ্চার খাবার খাওয়ায় নির্যাতন করা হতো। অনেক সময় গৃহকর্ত্রীর বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করত হেনা। এসময় কোনো কারণে তার বাচ্চার সাথে হেনার মারামারি হলেও নির্যাতন করা হতো। আর নির্যাতনের মাত্রা এমন ছিল যে বিছানায় মলত্যাগ করে ফেলত।

কলাবাগান থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট সকালেও হেনাকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর পালিয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী। এরপর মোবাইল বাড়িতে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন তিনি। পরে যশোর চলে যান।

ওইদিন রাতে ফোনে গৃহকর্মী হেনার মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কয়েকটি বাসায় খোঁজও নেয় পুলিশ। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি মালিক সোসাইটির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহকর্মী হেনার লাশ উদ্ধার করে তারা।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় শিশু গৃহকর্মীকে হত্যা করেন ডলি

আপডেট সময় ০৭:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর কলাবাগানে শিশু গৃহকর্মী হেনা মাঝেমধ্যে গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন ডলির বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলত বলে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শিশু গৃহকর্মীটিকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহকর্ত্রীর বাচ্চার খাবার খাওয়ায় নির্যাতন করা হতো। অনেক সময় গৃহকর্ত্রীর বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করত হেনা। এসময় কোনো কারণে তার বাচ্চার সাথে হেনার মারামারি হলেও নির্যাতন করা হতো। আর নির্যাতনের মাত্রা এমন ছিল যে বিছানায় মলত্যাগ করে ফেলত।

কলাবাগান থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট সকালেও হেনাকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর পালিয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী। এরপর মোবাইল বাড়িতে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন তিনি। পরে যশোর চলে যান।

ওইদিন রাতে ফোনে গৃহকর্মী হেনার মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কয়েকটি বাসায় খোঁজও নেয় পুলিশ। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি মালিক সোসাইটির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহকর্মী হেনার লাশ উদ্ধার করে তারা।