ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাড়ি ফেরার পথে চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১৪৪ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজেম আলী আহমেদকে (৫০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুরের চেম্বার থেকে রোগী দেখে উপশহরের বাসায় যাওয়ার সময় বর্ণালীর মোড়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

রামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুকুল হোসেন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাকে দুর্বৃত্তরা বুক মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

জানা যায়, গোলাম কাজেম আলী আহমেদ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ৪২তম ব্যাচে এমবিবিএস পাস করেন। পরে এফসিপিএস (ডারমাটোলোজি) ও ডিডিভিসহ (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তিনি নগরীর উপশহর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

চিকিৎসকের স্বজনদেন দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেলেও তার মোবাইল, টাকা, দামি হাতঘড়ি কিছুই নিয়ে যায়নি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। রাজশাহীতে যে কয়েকজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদের মধ্যে ডা. কাজেম আলী অন্যতম। প্রতিদিনের মতো রোববার নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার চেম্বার শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। বর্ণালীর মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস সামনে এসে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় ওই মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা নেমে তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার

একইদিন রাতে ড্রেনের পাশ থেকে আরেক পল্লী চিকিৎসকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সিটি হাট এলাকার একটি ড্রেনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত পল্লী চিকিৎসকের নাম এরশাদ আলী দুলাল (৪৮)। তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, অপহরণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বাড়ি ফেরার পথে চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজেম আলী আহমেদকে (৫০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুরের চেম্বার থেকে রোগী দেখে উপশহরের বাসায় যাওয়ার সময় বর্ণালীর মোড়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

রামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুকুল হোসেন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাকে দুর্বৃত্তরা বুক মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

জানা যায়, গোলাম কাজেম আলী আহমেদ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ৪২তম ব্যাচে এমবিবিএস পাস করেন। পরে এফসিপিএস (ডারমাটোলোজি) ও ডিডিভিসহ (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তিনি নগরীর উপশহর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

চিকিৎসকের স্বজনদেন দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেলেও তার মোবাইল, টাকা, দামি হাতঘড়ি কিছুই নিয়ে যায়নি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। রাজশাহীতে যে কয়েকজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদের মধ্যে ডা. কাজেম আলী অন্যতম। প্রতিদিনের মতো রোববার নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার চেম্বার শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। বর্ণালীর মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস সামনে এসে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় ওই মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা নেমে তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার

একইদিন রাতে ড্রেনের পাশ থেকে আরেক পল্লী চিকিৎসকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সিটি হাট এলাকার একটি ড্রেনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত পল্লী চিকিৎসকের নাম এরশাদ আলী দুলাল (৪৮)। তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, অপহরণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।