ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বান্দরবানে আইইডি বিস্ফোরণে নিহত সেনা সদস্যের দাফন সম্পন্ন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
  • ১১১৫ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার কেএনএফ -এর পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে নিহত সেনা সদস্য তুজাম খানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। রাজবাড়ীর পাংশায় গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে তার দাফন করা হয়।

নিহত সেনা সদস্য তুজাম খান পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের জাগির বাগলি গ্রামের মো. লুকমান মাস্টারের ছেলে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় হেলিকপ্টারে করে নিহত সেনা সদস্যের মরদেহ উপজেলার কসবামাজাইল আতাহার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়। সেখানে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে গার্ড অফ অনার প্রদান শেষে দাফন করা হয়। গার্ড অব অনার প্রদান করেন যশোর ক্যান্টনমেন্টের ক্যাপ্টেন মাহফুজ রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর একটি টহল দল কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তরসহ একটি গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের খোঁজ পায়। প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এলাকার আশেপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা সেনা জোনের একটি টহল দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কেএনএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়। তবে ৯টা ২০ মিনিটে সেনা টহল দলটি কেএনএফ এর পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণের শিকার হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হলে তাকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক তুজামের মৃত্যু হয়।

নিহত তুজামের স্বজনরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তুজাম খান। তার স্ত্রী ও তিন বছর বয়সি দুটি জমজ কন্যা সন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনপদে হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। কেএনএফ -এর কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাহাড়ে তৎপর রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বান্দরবানে আইইডি বিস্ফোরণে নিহত সেনা সদস্যের দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় ০৯:২৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার কেএনএফ -এর পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে নিহত সেনা সদস্য তুজাম খানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। রাজবাড়ীর পাংশায় গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে তার দাফন করা হয়।

নিহত সেনা সদস্য তুজাম খান পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের জাগির বাগলি গ্রামের মো. লুকমান মাস্টারের ছেলে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় হেলিকপ্টারে করে নিহত সেনা সদস্যের মরদেহ উপজেলার কসবামাজাইল আতাহার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়। সেখানে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে গার্ড অফ অনার প্রদান শেষে দাফন করা হয়। গার্ড অব অনার প্রদান করেন যশোর ক্যান্টনমেন্টের ক্যাপ্টেন মাহফুজ রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর একটি টহল দল কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তরসহ একটি গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের খোঁজ পায়। প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এলাকার আশেপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা সেনা জোনের একটি টহল দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কেএনএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়। তবে ৯টা ২০ মিনিটে সেনা টহল দলটি কেএনএফ এর পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণের শিকার হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হলে তাকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক তুজামের মৃত্যু হয়।

নিহত তুজামের স্বজনরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তুজাম খান। তার স্ত্রী ও তিন বছর বয়সি দুটি জমজ কন্যা সন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনপদে হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। কেএনএফ -এর কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাহাড়ে তৎপর রয়েছে।