আগামী ১ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বিএনপির ‘দেশ অচল করার হুমকি’ আমলে নিচ্ছেন না বলে জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এক সময় বাসে, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা সব সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি আমাদের ডিবি ও থানা-পুলিশ ঢাকার সরকারি, বেসরকারি ও কেপিআইভুক্ত রেল ও মেট্রো রেলসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতা চালাতে না পারে।’
ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে, সেটি যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের সব পুলিশ সদস্য যার যা দায়িত্ব, তা পালন করে যাচ্ছি। আশঙ্কা নেই, কিন্তু আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে কিছু না ঘটে।’
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি ‘দেশ অচল’ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে তারা নতুন কর্মসূচি দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলো কখনো আমলে নিই না। অতীতেও আমলে নিইনি, ভবিষ্যতেও নেব না। কারণ অনেক ঘোষণাই অতীতে শুনেছি। তবে আমরা মনে করি, যেসব ঘোষণা দেশবিরোধী, জনবিরোধী, সংবিধানবিরোধী তা জনগণ পছন্দ করে না।’
হারুন বলেন, ‘আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা মানে না, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার মানে না, নিরুৎসাহিত করছে, তা জনগণ মানছে না। যে কারণে তাদের কর্মসূচিতে প্রভাব নেই। সড়কে ভিড় লেগে থাকছে। মানুষ রাস্তায় নামছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে আছে, রাস্তায় কাজ করছে, টহল পার্টি, চেকপোস্ট চলছে। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে। গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালাবে বা চালানোর চেষ্টা করছে… ভাড়াটিয়া ভাড়া করে কারা নাশকতার চেষ্টা করছে, তাদের অনেকের নাম পরিচয় আমরা জেনেছি। অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। গতরাতেও আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। আরও যাদের নাম আমরা জেনেছি তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’