ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিএনপি ছাড়াই নির্বাচনী তোড়জোড় আ’লীগে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১২৭ বার পড়া হয়েছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন চলছে। তাদের ডাকা অবরোধের মধ্যেই গেল বুধবার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও তার মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলটির ভেতরে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এ দিন তিনি মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরদিন আগামীকাল শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট বুথ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রদান করার নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। কার্যালয়ের নিচতলায় সকল বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হবে। এবার মনোনয়ন ফরমের মূল্য ২০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দলটির নেতারা মনে করেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন গেল বুধবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে শুধু বিএনপি নয়, নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। সেক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে আওয়ামী লীগ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং সেই রোডম্যাপ ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।

নেতাদের মতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন বানচাল করার জন্য জ্বালাও পোড়াও করেছিল। তাতে কি আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হয়েছে? তাদের আন্দোলনের কারণে প্রথম দিকে সরকার গঠন নিয়ে কিছুটা চাপ অনুভব করলেও পরে সেই চাপ সামলিয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচন বানচাল করার জন্য যতপ্রকার কৌশল ও আন্দোলন করা দরকার বিএনপি ও তাদের মিত্ররা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কোনো রাষ্ট্র তো বলেনি, তোমরা নির্বাচন না করে ক্ষমতায় এসেছো, সরকারের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবো না। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করে মাঝপথে পালিয়ে গেছে। তাতে কি সরকারের কোনো ক্ষতি হয়েছে? বরং সরকার টানা তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে- যেটা বিগত আমলের কোনো সরকারই এত উন্নয়ন করতে পারেনি। বিএনপি নির্বাচনও ঠিকঠাক মতো করতে পারে না, আন্দোলনও করতে পারে না। বিএনপির মতো হাঁটুভাঙা, কোমর ভাঙা দলের আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা সরকার মোটেও চিন্তিত নয়। প্রথমত, আন্দোলন করে নির্বাচন বানচাল করে রাখার মতো সক্ষমতা বিএনপির নেই। দ্বিতীয়ত, বিএনপি না এলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এমনো নয়। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া হচ্ছে- আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক। আওয়ামী লীগও সেটা চায়। ফলে বিএনপি অংশ না নিলেও তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ আরো অনেক দল আছে যাদের অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট এখনও বলছেন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, আজ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি আরেক প্রার্থী। কাজেই এসব প্রশ্ন করে লাভ নেই। তাদের বেলায় ঠিক আছে, আমাদের বেলায় সমস্যা? ট্রাম্প বলেছেন তিনি বাইডেনকে মানেন না। অথচ তাদের আরেকটা নির্বাচন সামনে। গণতন্ত্রের ভেতরে দোষত্রুটি সব জায়গায় আছে। কেউ পারফেক্ট না।

বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি গতকাল বলেছেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল (বুধবার) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তাদের সাথে আরো শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এটা তাদের দলের সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যদি বানচাল করার কোনো ধরনের অপচেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না, ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিএনপি ছাড়াই নির্বাচনী তোড়জোড় আ’লীগে

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন চলছে। তাদের ডাকা অবরোধের মধ্যেই গেল বুধবার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও তার মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলটির ভেতরে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এ দিন তিনি মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরদিন আগামীকাল শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট বুথ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রদান করার নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয়তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। কার্যালয়ের নিচতলায় সকল বিভাগের মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হবে। এবার মনোনয়ন ফরমের মূল্য ২০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দলটির নেতারা মনে করেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন গেল বুধবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে শুধু বিএনপি নয়, নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। সেক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে আওয়ামী লীগ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং সেই রোডম্যাপ ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।

নেতাদের মতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন বানচাল করার জন্য জ্বালাও পোড়াও করেছিল। তাতে কি আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হয়েছে? তাদের আন্দোলনের কারণে প্রথম দিকে সরকার গঠন নিয়ে কিছুটা চাপ অনুভব করলেও পরে সেই চাপ সামলিয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচন বানচাল করার জন্য যতপ্রকার কৌশল ও আন্দোলন করা দরকার বিএনপি ও তাদের মিত্ররা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কোনো রাষ্ট্র তো বলেনি, তোমরা নির্বাচন না করে ক্ষমতায় এসেছো, সরকারের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবো না। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করে মাঝপথে পালিয়ে গেছে। তাতে কি সরকারের কোনো ক্ষতি হয়েছে? বরং সরকার টানা তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে- যেটা বিগত আমলের কোনো সরকারই এত উন্নয়ন করতে পারেনি। বিএনপি নির্বাচনও ঠিকঠাক মতো করতে পারে না, আন্দোলনও করতে পারে না। বিএনপির মতো হাঁটুভাঙা, কোমর ভাঙা দলের আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা সরকার মোটেও চিন্তিত নয়। প্রথমত, আন্দোলন করে নির্বাচন বানচাল করে রাখার মতো সক্ষমতা বিএনপির নেই। দ্বিতীয়ত, বিএনপি না এলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এমনো নয়। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া হচ্ছে- আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক। আওয়ামী লীগও সেটা চায়। ফলে বিএনপি অংশ না নিলেও তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ আরো অনেক দল আছে যাদের অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট এখনও বলছেন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, আজ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি আরেক প্রার্থী। কাজেই এসব প্রশ্ন করে লাভ নেই। তাদের বেলায় ঠিক আছে, আমাদের বেলায় সমস্যা? ট্রাম্প বলেছেন তিনি বাইডেনকে মানেন না। অথচ তাদের আরেকটা নির্বাচন সামনে। গণতন্ত্রের ভেতরে দোষত্রুটি সব জায়গায় আছে। কেউ পারফেক্ট না।

বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি গতকাল বলেছেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল (বুধবার) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তাদের সাথে আরো শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এটা তাদের দলের সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যদি বানচাল করার কোনো ধরনের অপচেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না, ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।