ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিএনপি নির্বাচনের নামে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল : কাদের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩০ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। সেদিন বিএনপি বাংলাদেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং নির্বাচনের নামে প্রহসনের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত ১৯৯৬ সালের এই দিনে স্বৈরাচারের প্রতিভূ এবং গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অপশক্তি বিএনপি তথাকথিত নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে এবং তাদের একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন টিকিয়ে রাখার অশুভ লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোটারবিহীন এক প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে ওই নির্বাচন আয়োজন করে বিএনপি। খুনি ফারুককে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ১৫০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় খালেদা জিয়ার বিএনপি। গণতন্ত্রকামী মানুষ ঘৃণাভরে একতরফা নির্বাচন বর্জন করে। ফলে দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা হারায় ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত রোষের প্রতিফলন রূপে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জনতার মঞ্চ’।
তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্য গণশক্তির বিপরীতে থাকে শুধু গণবিরোধী বিএনপি-কেন্দ্রিক অপশক্তির চক্রব্যূহ। সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনার বাতিঘর হিসেবে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জনতার রুদ্র-রোষে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজপথ। সব দিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শাসকগোষ্ঠী বিএনপি। জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণা গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হলে ৩০ মার্চ বিএনপি সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনার আপসহীন নেতৃত্বে জনগণের বিজয় সূচিত হয়। জনগণ ফিরে পায় তাদের হারানো ভোটের অধিকার।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করে আসছে; অন্ধকারে চোরা গলি দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালিয়েছে। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতিতে লিপ্ত থেকেছে। বিএনপিই হলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়।

সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিএনপি নির্বাচনের নামে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল : কাদের

আপডেট সময় ১০:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন। সেদিন বিএনপি বাংলাদেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং নির্বাচনের নামে প্রহসনের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত ১৯৯৬ সালের এই দিনে স্বৈরাচারের প্রতিভূ এবং গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অপশক্তি বিএনপি তথাকথিত নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে এবং তাদের একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন টিকিয়ে রাখার অশুভ লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোটারবিহীন এক প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে ওই নির্বাচন আয়োজন করে বিএনপি। খুনি ফারুককে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ১৫০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় খালেদা জিয়ার বিএনপি। গণতন্ত্রকামী মানুষ ঘৃণাভরে একতরফা নির্বাচন বর্জন করে। ফলে দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা হারায় ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত রোষের প্রতিফলন রূপে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘জনতার মঞ্চ’।
তিনি বলেন, অপ্রতিরোধ্য গণশক্তির বিপরীতে থাকে শুধু গণবিরোধী বিএনপি-কেন্দ্রিক অপশক্তির চক্রব্যূহ। সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনার বাতিঘর হিসেবে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জনতার রুদ্র-রোষে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজপথ। সব দিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শাসকগোষ্ঠী বিএনপি। জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণা গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হলে ৩০ মার্চ বিএনপি সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনার আপসহীন নেতৃত্বে জনগণের বিজয় সূচিত হয়। জনগণ ফিরে পায় তাদের হারানো ভোটের অধিকার।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করে আসছে; অন্ধকারে চোরা গলি দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালিয়েছে। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতিতে লিপ্ত থেকেছে। বিএনপিই হলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়।

সূত্র : বাসস