ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিচারকের বিরুদ্ধে স্লোগান : ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে ২১ আইনজীবী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০২:৫২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে দেওয়া অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিতে জেলার আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান বাবুলসহ ২১ আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা হাজির হন।

আদালতে হাজির হওয়া আইনজীবীরা হলেন জেলার আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো: জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো: আ: আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো: ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো: মাহবুবুর রহমান, মো: আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো: জাকারিয়া আহমেদ, মো: মোবারক উল্লা, মো: ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বিচারকের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একই সাথে এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়।

ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছিলেন।

তার আগে গত ৯ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতে এজলাস চলাকালীন বিচারকের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বিচার বিঘ্নিত করা এবং বিচারকের মানহানি করার বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২ জানুয়ারি এজলাস চলার সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশালীন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এজলাস থেকে নামতে বাধ্য করার প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের কনটেম্পট ব্যাচ রুল জারি করার পর অভিযুক্ত আইনজীবীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ জানুয়ারি এবং ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান প্রদান করেন।

জেলা জজের এই আবেদনপত্র প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিচারকের বিরুদ্ধে স্লোগান : ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে ২১ আইনজীবী

আপডেট সময় ০২:৫২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে দেওয়া অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিতে জেলার আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান বাবুলসহ ২১ আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা হাজির হন।

আদালতে হাজির হওয়া আইনজীবীরা হলেন জেলার আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো: জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো: আ: আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো: ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো: মাহবুবুর রহমান, মো: আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো: জাকারিয়া আহমেদ, মো: মোবারক উল্লা, মো: ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বিচারকের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একই সাথে এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়।

ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছিলেন।

তার আগে গত ৯ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতে এজলাস চলাকালীন বিচারকের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বিচার বিঘ্নিত করা এবং বিচারকের মানহানি করার বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২ জানুয়ারি এজলাস চলার সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশালীন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এজলাস থেকে নামতে বাধ্য করার প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের কনটেম্পট ব্যাচ রুল জারি করার পর অভিযুক্ত আইনজীবীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ জানুয়ারি এবং ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান প্রদান করেন।

জেলা জজের এই আবেদনপত্র প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।