ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিছানায় পড়ে ছিল শিশুর মরদেহ, ফ্যানে ঝুলে ছিল মায়ের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • ১১১৪ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গৃহবধূ ও তাঁর ৪ বছরের কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে বিছানা থেকে ও মাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর নাম জান্নাত আক্তার। তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক জানান, ৫ বছর আগে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে একই উপজেলার জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। গত ৫ মাস আগে আবুল কালাম ছুটি শেষ করে সিঙ্গাপুর ফিরে যায়।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আবদুল হক বলেন, ‘বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেয়ে জান্নাত আক্তার তার শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়।

প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় শাশুড়ি ঘরের দরজায় ডাকতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য লোকজনসহ স্থানীয়দের ডেকে আনেন। স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দুটি দেখতে পায় এবং বুড়িচং থানায় খবর দেয়।

বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন  বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘরের বিছানায় একটি শিশুর মরদেহ এবং পাশেই ফ্যানের সঙ্গে ওড়না নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল শিশুটির মা।’

ওসি আরও বলেন, ‘শিশুটির গলায় তার প্যাঁচানো ছিল। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু তাহের  বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঝগড়া করে, শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছে।’

এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দুটি মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি হত্যা ও একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা যাবে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিছানায় পড়ে ছিল শিশুর মরদেহ, ফ্যানে ঝুলে ছিল মায়ের

আপডেট সময় ০৪:০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গৃহবধূ ও তাঁর ৪ বছরের কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে বিছানা থেকে ও মাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর নাম জান্নাত আক্তার। তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক জানান, ৫ বছর আগে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে একই উপজেলার জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। গত ৫ মাস আগে আবুল কালাম ছুটি শেষ করে সিঙ্গাপুর ফিরে যায়।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আবদুল হক বলেন, ‘বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাবার খেয়ে জান্নাত আক্তার তার শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়।

প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় শাশুড়ি ঘরের দরজায় ডাকতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য লোকজনসহ স্থানীয়দের ডেকে আনেন। স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মরদেহ দুটি দেখতে পায় এবং বুড়িচং থানায় খবর দেয়।

বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন  বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘরের বিছানায় একটি শিশুর মরদেহ এবং পাশেই ফ্যানের সঙ্গে ওড়না নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল শিশুটির মা।’

ওসি আরও বলেন, ‘শিশুটির গলায় তার প্যাঁচানো ছিল। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু তাহের  বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঝগড়া করে, শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছে।’

এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দুটি মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি হত্যা ও একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা যাবে।’