ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানো প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি।

রোববার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণ শুনানি শেষে এ তথ্য জানানো হয়। বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল ও চারজন সদস্য শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এবং দেশের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছে।

বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির পর খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে যে ছয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা তাদের নিজ নিজ প্রস্তাবনা পেশ করেছে তারা হলো বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেস্কো), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলএস (নেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল)।

শুনানিতে আগ্রহী পক্ষগুলো নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিদ্যুতের বিদ্যমান ভারিত গড়মূল্য ৭ টাকা ০২ পয়সা। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে বিইআরসি নতুন ভারিত গড় মূল্য ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।এতে বিদ্যুতের দাম গড়ে বৃদ্ধি পেতে পারে ১৫ দশমিক ৪৩ ভাগ।

শুনানিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে জানায়, দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে এক হাজার ১২৭ কোটি টাকা। একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এক হাজার ৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) এক হাজার ৪০২ কোটি টাকা, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বলছে, তাদের ৫৩৫ কোটি টাকা লোকসান হবে। ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনো আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলছে দাম না বাড়লে তাদেরও ক্ষতি হবে।

গত বছরের ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে, পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

আপডেট সময় ০৭:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানো প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি।

রোববার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণ শুনানি শেষে এ তথ্য জানানো হয়। বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল ও চারজন সদস্য শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এবং দেশের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছে।

বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির পর খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে যে ছয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা তাদের নিজ নিজ প্রস্তাবনা পেশ করেছে তারা হলো বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেস্কো), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলএস (নেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসিএল)।

শুনানিতে আগ্রহী পক্ষগুলো নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিদ্যুতের বিদ্যমান ভারিত গড়মূল্য ৭ টাকা ০২ পয়সা। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে বিইআরসি নতুন ভারিত গড় মূল্য ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।এতে বিদ্যুতের দাম গড়ে বৃদ্ধি পেতে পারে ১৫ দশমিক ৪৩ ভাগ।

শুনানিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে জানায়, দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে এক হাজার ১২৭ কোটি টাকা। একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এক হাজার ৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) এক হাজার ৪০২ কোটি টাকা, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বলছে, তাদের ৫৩৫ কোটি টাকা লোকসান হবে। ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনো আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলছে দাম না বাড়লে তাদেরও ক্ষতি হবে।

গত বছরের ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে, পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার।