ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত এখনও বহাল রয়েছে। এরইমধ্যে বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকায়। জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ওসি আজাদ কবির রোববার বিকালে জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ফুট পানি বেড়ে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। পানির চাপ আরও বাড়বে। তবে বণ্যপ্রাণির কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রেমালের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পুরো সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে থাকা বনরক্ষীদের এরইমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। জোয়ারে নদীর পানি বাড়ায় তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানিতে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। করমজলসহ বনের উঁচু এলাকাগুলোও পানিতে তলিয়েছে। তবে এখনো বন্যপ্রাণির ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।