ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ও জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন ড. ইউনূস

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ১০৯২ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী ২ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে সাইড লাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেক নেতাদের সাথে তার বৈঠক হতে পারে।

এ ছাড়া ড. ইউনূস জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিউ ইয়র্ক যাবেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে এই অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের সাথে তার মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনসহ বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিতে ড. ইউনূস ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্ষুদ্রঋণের উদ্যোক্তা হিসেবে ড. ইউনূস বিশ্বে সমাদৃত। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক এবং তিনি নিজে এ জন্য শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ড. ইউনূস অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও গণতন্ত্রায়নের পথে পদক্ষেপগুলো তুলে ধরতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে যোগ দেয়ার ব্যাপারে গত বৃহষ্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করেছেন ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাবেন। পরদিন তিনি শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলন শেষে ৫ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ড. ইউনূস ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা বলেছেন। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হতে পারে।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে বিমসটেক গঠিত।

ঢাকায় এর সদর দফতর অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বহুমুখী কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বিমসটেক গঠিত হয়। প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে এটি গঠিত হলেও পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়। প্রাথমিকভাবে এই সংস্থার সহযোগিতা বাণিজ্য, কারিগরি, জ্বালানি, যোগাযোগ, পর্যটন ও মৎস্য খাতে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সন্ত্রাস দমন, পরিবেশ, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনকে খাতভুক্ত হয়। বাংলাদেশ বর্তমানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি সাব-সেক্টর হিসেবে সমুদ্র অর্থনীতির ওপর কাজ করছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ও জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী ২ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে সাইড লাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেক নেতাদের সাথে তার বৈঠক হতে পারে।

এ ছাড়া ড. ইউনূস জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিউ ইয়র্ক যাবেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে এই অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের সাথে তার মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনসহ বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিতে ড. ইউনূস ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্ষুদ্রঋণের উদ্যোক্তা হিসেবে ড. ইউনূস বিশ্বে সমাদৃত। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক এবং তিনি নিজে এ জন্য শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ড. ইউনূস অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও গণতন্ত্রায়নের পথে পদক্ষেপগুলো তুলে ধরতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে যোগ দেয়ার ব্যাপারে গত বৃহষ্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করেছেন ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাবেন। পরদিন তিনি শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলন শেষে ৫ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ড. ইউনূস ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা বলেছেন। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হতে পারে।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে বিমসটেক গঠিত।

ঢাকায় এর সদর দফতর অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বহুমুখী কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বিমসটেক গঠিত হয়। প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে এটি গঠিত হলেও পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান এতে যোগ দেয়। প্রাথমিকভাবে এই সংস্থার সহযোগিতা বাণিজ্য, কারিগরি, জ্বালানি, যোগাযোগ, পর্যটন ও মৎস্য খাতে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সন্ত্রাস দমন, পরিবেশ, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনকে খাতভুক্ত হয়। বাংলাদেশ বর্তমানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি সাব-সেক্টর হিসেবে সমুদ্র অর্থনীতির ওপর কাজ করছে।